যে তোমারে ভজে প্রভু সে মোর জীবন।
না পারোঁ সহিতে মুঞি তোমার লঙ্ঘন॥
মহাপ্রভু ভক্তভাব অঙ্গীকার করায় মূঢ় অদ্বৈতবাদিগণ বিশ্বম্ভরকে বিষয়-বিগ্রহ মনে না করিয়া আশ্রয়-বিগ্রহ মনে করে ।উহাতে বিশ্বম্ভরের মর্যাদা লঙঘন হয় এবং নিজ নির্বুদ্ধিতা-ক্রমে বিষ্ণুবংশ হইবার অবৈধ চেষ্টা করিলে ত্যাজ্য বংশ ও শিষ্য পরিচয় মাত্র অবশিষ্ট থাকে ।চৈতন্যের অকৃত্রিম সেবকগণই পরম ভক্ত ।মহাপ্রভুর নিজ-সেবক অদ্বৈত—প্রভুর জীবন-সদৃশ প্রিয় ।যে ব্যক্তি বিষয়-বিগ্রহ শ্রীচৈতন্যদেবের সেবা পরিত্যাগ করিয়া স্বীয় অপস্বার্থপোষণের জন্য অদ্বৈত-মহিমা নিযুক্ত করেন, তিনি ভগবানের অনুগ্রহ-লাভে চিরদিন বঞ্চিত হইয়া আত্মম্ভরী, দাম্ভিক ও প্রতিষ্ঠাশা পরায়ণ হন ।অদ্যাপি কেহ কেহ অদ্বৈত বংশ পরিচয় দিয়া শুদ্ধভক্তের শুদ্ধা ভক্তির অনুষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠাশা বলিয়া স্থাপন করিতে যত্ন করেন ।তাহাতে তাঁহাদের অবৈধ দাম্ভিকতা প্রকাশিত হয় মাত্র ।ঐ প্রকার দাম্ভিকগণ ভক্তির স্বরূপ বুঝিতে না পারিয়া আপনাদিগকে বিষ্ণুবংশ ও তদ্বংশের দাসাভিমানী বৈষ্ণব মনে করিয়াপ্রতিষ্ঠাশা-সাগরের অতল জলধিতে নিমগ্ন হন; অদ্বৈতপ্রভু তাঁহাদিগের, অপরাধ ক্ষমা করিয়া সদ্বুদ্ধি দিউন, ইহাই শুদ্ধভক্ত জগতের একমাত্র প্রার্থনীয়।