শ্রীমদ্ভাগবতম ১০.২.২৬
সত্যব্রতং সত্যপরং ত্ৰিসত্যং সত্যস্য যোনিং নিহিতঞ্চ সত্যে।
সত্যস্য সত্যং ঋতসত্যনেত্রং সত্যাত্মকং ত্বাং শরণং প্রপন্নাঃ॥
সৃষ্টির পূর্ব্বে একমাত্র পরমব্রহ্ম ছিলেন, আর কিছুই ছিল না। তিনি সর্ব্বশক্তিমান্ ও পূর্ণ স্বরূপ। তাঁহার অনন্ত শক্তির মধ্যে ব্রহ্মাণ্ডস্থ জীবগণের নিকট তিনটী শক্তির প্রকাশ আছে। অপর সমুদয় শক্তি জীবের পক্ষে অচিন্ত্য ও অবিতর্ক্য। জীব যদিও স্বয়ং অপ্রাকৃত, জ্ঞান ও আনন্দে ভূষিত তথাপি পূর্ণতার অভাব প্রযুক্ত পূর্ণ স্বরূপ পরমেশ্বরকে সম্যক জানিতে পারেন না। এই তিনটী শক্তির নাম চিচ্ছক্তি, জীবশক্তি ও মায়াশক্তি অর্থাৎ অন্তরঙ্গা, তটস্থা ও বহিরঙ্গা। চিচ্ছক্তিই পরব্রক্ষের স্বভাব। মায়াশক্তি ঐ স্বভাবের বিপরীত। জীবশক্তি চিচ্ছক্তির বিভিন্নাংশ মায়াভিমুখ ধৰ্ম্ম যোগ্য। চিচ্ছক্তি পূর্ণরূপে অপ্রাকৃত, জীবশক্তি অপ্রাকৃতের অসম্পূর্ণ লক্ষণ এবং মায়াশক্তি অপ্রাকৃতের বিপরীত অর্থাৎ প্রাকৃত। সমস্ত জড় জগতকে প্রাকৃত কহা যায় এজন্য ইহাকে মায়াশক্তির প্রকাশ বলিয়া ব্যাখ্যা হয়। জগদীশ্বরে এই তিনটি শক্তি স্বীকার না করিলে কোন প্রকার বিচারের মীমাংসা হয় না, যেহেতু পরব্রহ্মে অপ্রাকৃত গুণ স্বীকার না করিলে ভয়ঙ্কর মায়াবাদের উদ্ভব হয়। বিপরীত গুণসকল যে পুরুষে সামঞ্জস্য ভাবে অবস্থিতি করে তাঁহাকেই পরব্রহ্ম বলি যথা নিৰ্ব্বিকার ও সৃষ্টি করণের ইচ্ছা এবং চিচ্ছক্তির আনন্দময় বিলাস ও মায়াশক্তির অন্ধতম পরিচালনা একই কালে নির্ব্বিরোধ ভাবে পরমেশ্বরে দৃষ্ট হয়। মানব অসম্পূর্ণতা প্রযুক্ত এ প্রকার সামঞ্জস্যের ভাব হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হয় না । মায়া অসৎ অর্থাৎ অভাব সঙ্কল্প এ প্রযুক্ত জড় জগতে দুঃখ ব্যতীত আর কিছুই নাই। পরিদৃশ্যমান এই জগতেই যে মায়া এমত নহে কিন্তু ইহা মায়াগৰ্ভ সম্ভূত। মায়া জগদীশ্বরের শক্তি মাত্র। সেই অনাদি শক্তিতে পরমেশ্বর যখন রমণ করেন তখন এই ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি হয়। সমস্ত সূর্য্য ও নক্ষত্রগণ সহিত এই জড় ব্রহ্মাণ্ড মায়া প্রসূত। জননীর গুণ সমুদয় ব্রহ্মাণ্ডে উত্তরাধিকারিত্ত্ব সূত্রে ন্যস্ত হইয়াছে। সত্ত্ব রজ তম দেশ কাল এই সমস্ত মহাগুণ ও তদনুলোম-বিলোম জনিত আকৃতি, বিস্তৃতি, স্থিতি-স্থাপকতা আকর্ষণ প্রভৃতি ক্ষুদ্র গুণসকল গুণবতী। মায়া হইতে দৃশ্য জড় প্রকৃতি প্রাপ্ত হইয়াছে। শঙ্করাচার্যের অনুগামী তত্বতৃষূগণ এই মায়া ও তজ্জাত জগৎকে মিথ্যা বলিয়া ব্যাখ্যা করত ব্রহ্ম ব্যতীত অন্য কোন পদার্থ বা গুণ স্বীকার করেন নাই। তাঁহাদের বিচারে নানাবিধ দোষের উদ্ভব হয়। প্রথমতঃ এই বিশ্বরূপ ভান কাহাতে হইতেছ ইহা যুক্তি দ্বারা কোন প্রকারে মীমাংসা করিতে পারেন না। দ্বিতীয়তঃ তাঁহাদের মীমাংসা গ্রহণ করিলে পাপ-পুণ্য, কৰ্তব্য-অকৰ্ত্তব্য ইত্যাদি সমুদয় অবস্তু হইয়া উঠে। মানব জীবনের সারভূত বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের ভিত্তিমূল যে প্রেম তাহাও উৎপাটিত হইয়া জীবসকল ভ্রমকূপে পতিত হইয়া স্বেচ্ছাচার ধৰ্ম্ম অবলম্বন করত অমঙ্গল প্রাপ্ত হয়। যথার্থ তত্ত্ববিৎ বৈষ্ণব সাধুগণ এই সকল বন্ধ্যা যুক্তি হইতে জীব সকলকে উদ্ধার করিবার জন্য পরমেশ্বরের সর্ব্বশক্তিতে বিশ্বাস করিতে বিধান করিয়াছেন। পরমেশ্বর স্বীয় চিচ্ছক্তি দ্বারা পূর্ণানন্দে অলঙ্কৃত। তাঁহার জীবশক্তির পরিচালনা দ্বারা স্থিতিকালে সমস্ত জীবের অস্তিত্ব বিধান করেন, এবং মায়া শক্তির দ্বারা, বস্তুত অসত্য কিন্তু স্থিতিকালে সত্য এই জড় জগৎকে প্রকাশ করেন। জীব চিন্ময় হইয়াও জগদীশ্বরের শক্তি বশতঃ এই জড় জগতে বদ্ধপ্রায় অনুযন্ত্রিত আছেন। পরন্তু সারগ্রাহী বৈষ্ণববর্গ পরমেশ্বরকে এক অদ্বয় তত্ত্ব জানেন, যেহেতু জীব ও জড়ের মূল-স্বরূপ যে দুই শক্তি স্বীকৃত হইয়াছে তাহা একমাত্র পরমেশ্বরের শক্তি মাত্র, স্বতন্ত্র পদার্থ নহে। পরম পুরুষ পরমেশ্বর কদাচ একাধিক নহেন যেহেতু শ্রুতি, প্রত্যক্ষ অর্থাৎ যুক্তি, ঐতিহ্য অর্থাৎ মহাজন প্রসিদ্ধি এবং অনুমান এই চারি প্রকার প্রমাণের দ্বারা বৈষ্ণবগণ পরব্রহ্মকে অদ্বয় বলিয়াছেন। দ্বিতত্ত্ব ও ত্রিতত্ত্ববাদী বৈষ্ণবগণও[1] ফলত এক পরম তত্ত্বেই তর্ক্কান্ত পরিশ্রমের বিশ্রাম প্রদান করেন। জীব জড় এই দুইটী পদার্থকে তাঁহারা অনাদি ও অনন্ত বলিয়া গীতা প্রমাণ দিয়া থাকেন। কিন্তু তাঁহাদের গীতাৰ্থ বিবেচনার ত্রুটি বলিতে হইবে যেহেতু ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ স্বীয় শক্তিদ্বয়কে অনাদি ও অনন্ত বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন; তদ্বারা ঐ শক্তিদ্বয়ের পরিণাম স্বরূপ কাৰ্য্য সকলকে অনাদিত্ত্বে বরণ করেন নাই। পরিণামের ও পরিণাম হইবার সম্ভাবনা অতএব জগদীশ্বরের ইচ্ছাক্রমে সমুদায় পদার্থ বিনাশ হইতে পারে ইহা সৰ্ব্বতঃ স্বীকৃত। তটস্থ বিচার করিলে জগদীশ্বর স্বীয় শক্তি গণ হইতে অভিন্ন। যথা আলোক ও দহন এই দুইটী অগ্নির শক্তি কিন্তু ইহারা অগ্নি হইতে স্বতন্ত্র নহে। জীবশক্তি ও মায়াশক্তি অনাদি ও অনন্ত হইলেও তজ্জাত জীব ও জড় স্বতন্ত্র ভাবে অনাদি ও অনন্ত নহে। অর্থাৎ ইহাদের ক্ষয়োদয় স্বীকার করা যায়। পরন্তু বৈষ্ণবগণ জীব ও জড়কে মিথ্যা বলিতে পারেন না যেহেতু সত্য স্বরূপ পরমেশ্বর ইহাদের মূল স্বরূপ অতএব মায়াবাদী ভ্ৰমান্ধ ব্যক্তিগণের মীমাংসা হইতে বৈষ্ণব তত্ত্ব স্পষ্টরূপে ভিন্ন করিবার জন্য অনেকানেক মহাত্মাগণ চিৎ ও অচিৎ অর্থাৎ জীব ও জড় এ উভয়কেও নিত্য বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন। জগদীশ্বর সৃষ্টি করণেচ্ছায় সত্যের সঙ্কল্প করেন একারণ দেবগণ তাঁহাকে সত্যব্রত বলিয়া সম্বোধন করিলেন। জড় ও জীব যদিও সত্য তথাপি জগদীশ্বরের স্বীয় সত্যতার সহিত ঐ সাময়িক সত্যের তুলনা হইতে পারে না । যেহেতু পরমেশ্বর নিত্য সত্য, এ প্রযুক্ত দেবতাগণ তাঁহাকে “সত্যপরং” বলিয়া সম্বোধন করেন। সত্যব্রত বলিয়া ভগবানকে সম্বোধন করত দেবতাগণের এরূপ আশঙ্কা হইল যে যদি সত্যব্রত শব্দ দ্বারা ভগবানের সৃষ্ট পদার্থকে নিত্য সংজ্ঞা দেওয়া হয় তাহা হইলে মহৎ অপরাধ হইবে; এই আশঙ্কা দূরীকরণ আশঙ্কায় অবিলম্বেই সত্যপরং উপাধিটী প্রয়োগ করিলেন। এই প্রকার ঈশ্বরের নিকট নিরপরাধী হইয়াও দেবতাদিগের সন্তোষ হইল না যেহেতু ‘সত্যব্রতং সত্যপরং’ এই সঙ্কীর্ণ বাক্যের ব্যাখ্যা কেবল ভগবানই বুঝিতে পারিলেন, কিন্তু অন্যান্য জীবগণ ইহার বিপরীত অর্থ জানিয়া অদ্বৈতবাদী হইয়া উঠিবেন অথবা জড় ও জীবকে ঈশ্বরের সহিত নিত্যতার তুলনা করিয়া কলুষিত হইবেন। এই প্রকার চিন্তাকরতঃ ব্রহ্মাদি দেবগণ পরমেশ্বরকে ‘সত্যস্য যোনিং নিহিতঞ্চ সত্যে সত্যস্য সত্যং”এই বাক্যের দ্বারা স্তব করিলেন। হে জগদীশ, তুমি সত্যের জননী অর্থাৎ এই ব্রহ্মাণ্ডের উপাদান কারণ। অপর তুমি এই ব্রহ্মাণ্ডরূপ সাময়িক সত্যে নিহিত হইয়া আছ অথচ এই ব্রহ্মাণ্ডরূপ সত্যের সত্য স্বরূপ অর্থাৎ জীবন। এই ব্রহ্মাণ্ডে ভগবান নিহিত হইয়া আছেন এই ভাবটী অতিশয় উৎকৃষ্ট অথচ আশ্চৰ্য্য। এই ব্রহ্মাণ্ডের কোন্ ভাগে পরমেশ্বর আছেন ইহা চিন্তনীয় নহে যেহেতু পরব্রহ্ম অপ্রাকৃত ও দেশকাল অপরিচ্ছেদ্য। জড়জগতের অতিশয় ক্ষুদ্র পদার্থকে পরমাণু বলা যায়। প্রতি পরমাণু খণ্ডে পরব্রহ্ম ষড়ৈশ্বৰ্য্যপূর্ণ ভাবে অবস্থিতি করিতেছেন। জগদীশ্বর অণু হইতে অণু ও গুরু হইতে গুরু এরূপ বেদসকলও গান করিয়াছেন। বেদসকল পরব্রহ্মের জগতে নিহিত থাকা ভাবকে সুন্দর ব্যক্ত করতে না পারিয়া ‘ওতপ্রোত’ শব্দ ব্যবহার করিয়াছেন। যেহেতু মন ও বাক্য যাঁহাকে না পাইয়া নিবৃত্ত হয় সেই অচিন্ত্য ঈশ্বরকে যে কোন বাক্যে প্রকাশ করিতে ইচ্ছা করা যায় তাহা প্রাকৃতভাবে কলুষিত হইয়া উঠে। কিন্তু জগদীশ্বরের যশঃকীৰ্ত্তন ও সংস্মরণ অর্থাৎ নিদিধ্যাসন ব্যতীত জীবের উপায়ান্তর নাই। এ প্রযুক্ত সাধু বৈষ্ণবগণ যে প্রকার বাক্যালঙ্কারে ভগবানকে বর্ণন করুন না কেন ঐ বাক্য সকলের প্রাকৃত ভাবকে পরিত্যাগ করতঃ অপ্রাকৃত ভাব গ্রহণ করা কর্ত্তব্য। যদিও এই প্রকার প্রতি পরমাণু খণ্ডে জগদীশ্বর পূর্ণরূপে বিরাজ করেন তথাপি ব্ৰহ্মাণ্ড ও ঈশ্বরে আধার আধেয় সম্বন্ধ অর্থাৎ পরস্পর ভিন্ন। অনেকেই নিহিত ভাবের আলোচনা করিতে করিতে ব্রহ্মাণ্ডের অস্তিত্বে সন্দেহ করিয়া ইহাকে বৃহদ্বস্তু ব্রহ্মের বিবৰ্ত্ত বলিয়া ব্যাখ্যা করেন। এই ভয়ানক মীমাংসাকে নিরোধ করিবার আশায় দেবগণ তাঁহাকে ‘সত্যস্য সত্য’ উপাধি প্রদান করিলেন। এই ব্রহ্মাণ্ড সত্য হইলেও ঈশ্বর নহে।
জগদীশ্বর ইহার সত্য স্বরূপ। এই পরিদৃশ্যমান বিশ্ব যখন পরমেশ্বরের ইচ্ছায় সমাপ্ত হইবে তখন ইহার পরিণাম-স্বরূপ পরম সত্য পরমেশ্বর একমাত্র অবশেষ রহিবেন। এই সামরিক সত্যের পর্য্যবসান জগদীশ্বরেই সম্ভব। জগদীশ্বরের ইচ্ছায় মায়াশক্তি হইতে এই বিশ্বের প্রাদুর্ভাব হইয়াছে এবং পরমেশ্বর ইহাতে অনুপ্রবেশ দ্বারা ইহাকে রক্ষা করিয়াছেন। অপর যখন তাঁহার সেই পবিত্র ইচ্ছা নিরস্ত হইবে তখন ইহার কিছুই থাকিবে না। তখন একমাত্র সর্ব্বৈশ্বৰ্য্যপূর্ণ ভগবান বিরাজ করিবেন। এস্থলে এরূপ আশঙ্কা হইতে পারে যে সৃষ্টির পূর্ব্বে যখন ব্রহ্মাণ্ড ও জীব সকল ছিল না তখন এই বিশ্বের অভাবরূপ একটী অসম্পূর্ণতা ঈশ্বরকে লক্ষ্য হয় অতএব এ স্থলে ত্রিতত্ত্ববাদী মহাত্মাগণ নিজ সিদ্ধান্ত উৎকৃষ্ট বলিয়া জীব ও জড়ের নিত্যত্ব স্বীকার করা কর্ত্তব্য এরূপ প্রকাশ করিতে পারেন কিন্তু সারগ্রাহী বৈষ্ণবদিগের এরূপ সিদ্ধান্ত নহে। জীব ও জড়ের প্রাগ্ভাব জগদীশ্বরের শক্তি মধ্যে থাকায় তিনি সৃষ্টির প্রাক্কালে কোন অংশে অসম্পূর্ণ ছিলেন না। অনন্ত কোটি ব্রহ্মাণ্ড প্রলয়াবসানে সেই পরব্রহ্মের শক্তি মধ্যে প্রবেশ করিবে। এ স্থলে কালত্রয়ের মধ্যে কখনই তাঁহাকে অসম্পূর্ণ দেখিতে পাওয়া যায় না। এই প্রকার কহিতে কহিতে দেবতাগণ বিবেচনা করিলেন যে সত্যই যদি ঈশ্বরের এক মাত্র মাহাত্ম্য হয় তবে তাহা সকলের গ্রাহ্য রূপে সামান্য হইয়া ঊঠে। আহা! আমরা ঈশ্বরকে এই প্রকার সত্য স্বরূপ ব্যাখ্যা করিয়া কতদূর অপরাধী হইলাম। এই প্রকার শোচনা করত ব্রহ্মাদি দেবগণ ভগবানকে ঋতসত্য নেত্র এই প্রকার সম্বোধন করিলেন। সত্যের সত্য স্বরূপ যে ব্রহ্ম তাহার প্রবর্ত্তক অর্থাৎ নিয়ন্তা যে পরম পুরুষ পর ব্রহ্ম তিনিই ভগবান্। ভগবানের শক্তির সমষ্টির নাম ব্ৰহ্ম যাঁহাকে সত্য উপাধি প্রদান করা হইয়াছে সেই সত্যের আধার যে পুরুষ তিনিই পরমেশ্বর। সেই পুরুষকে সত্য বলিতে হইলে গুণের দ্বারা গুণাধারের নামকরণ হইয়া উঠে। অতএব দেবতাগণ কহিলেন হে সত্যাত্মক ! আমরা তোমার শরণাপন্ন হই। জ্ঞানের দ্বারা চিন্তা করিতে করিতে যখন গুণ সমুদয় অতিক্রম করত সেই গুণাধার পরম পুরুষের সন্নিকট হইলেন; তখন দেবতাদিগের জ্ঞান একেবারে নিরস্ত হইয়া গেল। তখন তাঁহারা ভক্তি সমুদ্রে নিমগ্ন হইয়া প্ৰপত্তিরূপ ভগবচ্চরণামৃত গান করিয়া জ্ঞান শূন্য আনন্দকে প্রাপ্ত হইলেন ।
[1] দ্বৈতবাদী ও বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী