‘নন্দসুত’ বলি’ যাঁরে ভাগবতে গাই ৷
সেই কৃষ্ণ অবতীর্ণ চৈতন্যগোসাঞি ৷৷ ৯ ৷৷
অলঙ্কার-শাস্ত্রমতে প্রথমেই অনুবাদ বলিয়া পরে বিধেয় চিহ্নিত করিবে । বেদাদিশাস্ত্রে স্থানে স্থানে ব্রহ্ম, পরমাত্মা ও ভগবান্—এই তিনটী বিষয়ের উক্তি থাকায় তাহা পরিজ্ঞাত তত্ত্ব ; সুতরাং তাহাকেই অনুবাদরূপে স্থির করিতে হইবে । শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্যের অঙ্গপ্রভা যে ব্রহ্ম, অংশ যে পরমাত্মা ও স্বরূপ যে ভগবান্—একথা এখনও অপরিজ্ঞাত। অতএব এই তিনটী অনুবাদ সর্ব্বাগ্রে বলিয়া শাস্ত্ৰার্থ বিচারপূৰ্ব্বক বিধেয় স্থাপন করিবে। শাস্ত্ৰসিদ্ধান্ত এই যে, বিষ্ণুতত্ত্বের পরতত্ত্ব স্বয়ং ভগবান্ কৃষ্ণচন্দ্র । ভাগবতে নন্দসুত বলিয়া যাঁহার গান শুনা যায়, তিনি শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্যরূপে অবতীর্ণ । অতএব আমি কৃষ্ণ ও চৈতন্য একান্ত অভেদপূৰ্ব্বক বিচারস্থলে উক্তি করিব । সুতরাং সেই পরতত্ত্ব-বস্তুর ব্রহ্ম, পরমাত্মা ও স্বয়ং ভগবান্ বলিয়া যে প্রকাশত্রয় কথিত আছে, সে-সকলই শ্রীচৈতন্যের প্রকাশ-বিশেষ বলিয়া বলিতে পারি ।