(১) ব্রহ্ম-বিচার :—
তাঁহার অঙ্গের শুদ্ধ কিরণ-মণ্ডল ৷
উপনিষদ কহে তাঁরে ব্রহ্ম-সুনির্ম্মল ৷৷ ১২ ৷৷
মুণ্ডকোপনিষৎ, দ্বিতীয়মুণ্ডক, দ্বিতীয়খণ্ড ৯-১১ মন্ত্র— “হিরন্ময়ে পরে কোশে বিরজং ব্রহ্ম নিষ্কলম্ । তচ্ছুভ্রং জ্যোতিষাং জ্যোতিস্তদ্যদাত্মবিদো বিদুঃ ।। ন তত্র সূৰ্য্যো ভাতি ন চন্দ্রতারকং, নেমা বিদ্যুতো ভান্তি কুতোঽয়মগ্নিঃ। তমেব ভান্তমনুভাতি সৰ্ব্বং, তস্য ভাসা সৰ্ব্বমিদং বিভাতি ।। ব্রহ্মৈবেদমমৃতং পুরস্তাদ্ ব্রহ্ম পশ্চাদ্ ব্ৰহ্ম দক্ষিণতোশ্চোত্তরেণ অধশ্চোৰ্দ্ধং চ প্রসৃতং ব্রহ্মৈবেদং বিশ্বমিদং বরিষ্ঠম্ ।” [1]*
[1] * আত্মবিদ্গণ যে পরব্রহ্মকে জানেন, তিনি সুবর্ণ-জ্যোতিঃসম্পন্ন, আনন্দময় শ্রেষ্ঠকোশে তথা জীবের হৃদয়পদ্মে অবস্থানকারী, নির্গুণ, অখণ্ড, নির্দ্দোষ ও সকল জ্যোতিষ্কগণেরও জ্যোতিঃ । তাঁহাকে চন্দ্র-সূর্য্য-নক্ষত্ররাজি বা এই বিদ্যুৎসকল প্রকাশ করিতে পারে না, অগ্নির আর কি কথা ? তাঁহাকে অনুসরণ করিয়া সূৰ্য্যাদি সকলেই দীপ্তিলাভ করে, তাঁহার প্রকাশেই এই সকল জগৎ প্রকাশিত হয়। এই যে সম্মুখে, পিছনে, দক্ষিণে, বামে, উর্দ্ধে ও অধোভাগে বিশ্ব বিস্তৃত রহিয়াছে, এ সমস্তই সেই অমৃতস্বরূপ শাশ্বত ব্রহ্মাত্মক। অতএব ব্রহ্মই শ্রেষ্ঠতম । চরিতামৃত/২