চৈতন্য-মহিমা জানি এ সব সিদ্ধান্তে ৷
চিত্ত দৃঢ় হঞা লাগে মহিমা-জ্ঞান হৈতে ৷৷ ১১৮ ৷৷
পঞ্চরাত্রে—“মাহাত্ম্যজ্ঞানযুক্তস্তু সুদৃঢ়ং সৰ্ব্বতো ঽধিকঃ। স্নেহো ভক্তিরিতি প্রোক্তস্তয়া সাষ্ট্যাদির্নান্যথা।।” “মহিমজ্ঞানযুক্তঃ স্যাদ্বিধিমার্গানুসারিণাম্ । রাগানুগাশ্রিতানান্ত্ত প্রায়শঃ কেবলো ভবেৎ।।”[1]
[1] যিনি ভগবন্মহিমা-জ্ঞানযুক্ত, তাঁহার সর্ব্বতোভাবে অধিক ও সুদৃঢ় স্নেহ—ইহাই ভক্তি বলিয়া কথিত, যদ্দ্বারা সার্ষ্ট্যিাদি মুক্তিচতুষ্টয় লাভ হয়, অন্যথা হয় না। বিধিমার্গ-অনুসারিগণের স্নেহ মহিমাজ্ঞানযুক্ত অর্থাৎ মহিমাজ্ঞান-নির্ভর, কিন্তু রাগানুগ-আশ্রিতগণের স্নেহ প্রায়শঃ কেবল অর্থাৎ মহিমাজ্ঞান-অনির্ভর, তথা স্বাভাবিক।
ইতি অনুভাষ্যে দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ।