এই পরিচ্ছেদের প্রথমে তত্ত্বনির্ণায়ক চৌদ্দটী শ্লোক। শ্রীমদনমোহন, শ্রীগোবিন্দ, শ্রীগোপীনাথের মঙ্গলাচরণ ১৫-১৭শ শ্লোকে দিয়াছেন। প্রথম ১৪টী শ্লোকের মধ্যে প্রথম শ্লোকে সামান্যতঃ ছয় তত্ত্বের বন্দনা। তাহার বিশেষ ব্যাখ্যাতেই এই পরিচ্ছেদ সমাপ্ত হইয়াছে। গুরু-শব্দে দীক্ষাগুরু ও শিক্ষাগুরু ; তাঁহাদিগকে কৃষ্ণের প্রকাশ বলিয়া শিষ্যের অভিমান করিতে হইবে। ঈশভক্ত সিদ্ধ ও সাধক-ভেদে দুইপ্রকার। ঈশ—স্বয়ং-রূপ কৃষ্ণ ও তাঁহার কায়ব্যুহ । অংশাবতার, গুণাবতার ও শক্ত্যাবেশাবতার, এইরূপ ত্রিবিধাবতার। তৎপ্রসঙ্গে কৃষ্ণের প্রকাশতত্ত্ব ও তৎসঙ্গে বিলাসতত্ত্বের বিচার। কৃষ্ণের ত্রিবিধ শক্তিতন্মধ্যে বৈকুণ্ঠাদ্যে লক্ষ্মীগণ, দ্বারকায় মহিষীগণ এবং তাঁহাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্রজের গোপীগণ । কৃষ্ণ ও কৃষ্ণের কায়ব্যূহ —ঈশতত্ত্ব এবং ভক্তসমুদয়—আবরণতত্ত্ব, অতএব তাঁহার শক্তি-বিশেষ। শক্তি-শক্তিমানের অভেদ বুদ্ধিতে নিত্য অভেদ এবং শক্তিমান্ হইতে শক্তির পৃথক্ বুদ্ধিতে নিত্য ভেদ। এইরূপ এক অখণ্ডতত্ত্ব তাঁহার অচিন্ত্য-শক্তিদ্বারা প্রতিপাদিত হয়। এই সিদ্ধান্তের নাম বেদান্ত-সম্মত অচিন্ত্যভেদাভেদতত্ত্ব। এই পরিচ্ছেদের শেষাংশে শ্রীচৈতন্য-নিত্যানন্দের স্বরূপ ও মাহাত্ম্য কথিত হইয়াছে। (অঃ প্রঃ ভাঃ)—