আপাত-প্রতীতিবশে বৈষ্ণব দর্শন করিতে গিয়া।
দোষ-দর্শনে দুর্গতি—
দেখি’ মূর্খ দরিদ্র যে সুজনেরে হাসে।
কুম্ভীপাকে যায় সেই নিজ কর্মদোষে ॥
যাঁহারা ইন্দ্রিয়-তর্পণে ব্যস্ত হইয়া মত্ততা-বশতঃ বৈষ্ণবের জাগতিক পাণ্ডিত্যের ও জাগতিক ঐশ্বর্যের অভাব দর্শন করেন এবং তাদৃশ অভাব দর্শনে উপহাস করেন, তাঁহারা নিজ কর্মফলে কুম্ভীপাক-নরকে নিষ্পেষিত হন।“যো হি ভাগবতং লোকমুপহাসং নৃপোত্তম। করোতি তস্য নশ্যন্তি অর্থধর্মযশঃসুতা। নিন্দাং কুন্তি যে মূঢ়া বৈষ্ণবানাং মহাত্মনাম্। পতন্তি পিতৃভিঃ সার্ধং মহারৌরবসংজ্ঞিতে॥ হন্তিনিন্দতি বৈ দ্বেষ্টি বৈষ্ণবান্নাভিনন্দতি। ক্ৰধ্যতে যাতি নো হর্ষং দর্শনে পতনানি ষট্ ॥’’--- ঙ্কান্ধে।