কোনদিন উদ্ধব-অক্রুর-ভাব হয় ।
কোনদিন রামভাবে মদিরা যাচয় ॥
কোন সময়ে অক্ররের বিচারে ক্ষুব্ধ হইয়া গোপীজনের ভাবে বিভাবিত থাকেন। কোন সময় উদ্ধবের সান্ত্বনাবাক্যে কিঞ্চিৎ ধৈর্য-ধারণ ও পরক্ষণেই উচ্ছৃঙ্খলতাময় বিপ্রলম্ভে অধিরূঢ় মহাভাব প্রদর্শন করেন। কোন সময় আপনাকে ‘রৌহিণেয়’ জানিয়া মদ্যপান-অভিলাষ-জ্ঞাপন করেন। এখানে কেহ মনে না করেন যে, তিনি “অন্তঃশাক্তো বহিঃশৈবঃ সভায়াং বৈষ্ণবো মতঃ’’ বিচার ভক্তগণকে শিক্ষা দিয়াছেন। বিষ্ণুর বিভিন্ন লীলা যে সেব্যবস্তুর একমাত্র অধিকারান্তগর্ত, ইহা জানাইবার জন্য এবং আশ্রয়জাতীয় বিভিন্নাংশে জীবকুল নিত্যাবস্থিত—এই কথার উপদেশপ্রসঙ্গে, শ্রীগৌরলীলায় শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র যাহা যাহা প্রদর্শন করিয়াছেন, তাহা বিষয় ও আশ্রয়ের বৈচিত্র্য-প্রদর্শন-মাত্র। তাহাতে কোন ব্যক্তি তাঁহাকে আশ্রয়জাতীয় বিভিন্নাংশ মনে না করেন, এই জন্যই শ্রীরূপানু গগণ বিশেষ সতর্ক করিয়াছেন। শ্রীরূপানুগবিরোধী সাহিত্যিক-সম্প্রদায় জড়কার্য-বিনোদনে ব্যস্ত থাকায় শ্রীগৌরানুগত্য হইতে বিক্ষিপ্ত হইয়া শ্রীগৌরনিজ-জনগণের বিরোধ করিয়া বসে। শ্রীচৈতন্যদেব তাদৃশ অমঙ্গল নিরাকরণের জন্য স্বীয় লীলার বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বিভাব-সমূহ প্রদর্শন করিয়াছেন। বদ্ধজীব বামনের চন্দ্র-স্পর্শের ন্যায় উজ্জ্বল হইয়া আপনাকে বা তজ্জাতীয় বিভিন্নাংশ-জীবকে ‘ভগবদবতার’ কল্পনা না করেন, তাহার প্রতিষেধের জন্যই আচার্যের নিজ-স্বরূপ প্রদর্শন মুখে বিষয় ও আশ্রয়-বিগ্রহের পরস্পর যথাযথ সেব্য-সেবকভাব-বিন্যাস-লীলা।