নিত্যানন্দে সমর্পিলুঁ আমি তমা’ স্থানে।
সর্বমতে সংবরণ করিবা আপনে ॥
তোমার উপাস্যবস্তু নিত্যানন্দকে নিরন্তর সেবা করিবার জন্য আমি তোমাকে সমর্পণ করিলাম। তুমি সর্বতোভাবে তাঁহার সেবায় নিযুক্ত থাক, এইরূপ আশীর্বাদ করি। শ্রীবাসাদি শুদ্ধভক্তের সন্ধিনী শক্ত্যধিষ্ঠিত ভগবদ্বিগ্রহের মর্যাদাময়ী সেবা সবিশেষ প্রশংসনীয়। শ্রীগৌরসুন্দরের লীলায় পাঁচ প্রকার রসে রাধাগোবিন্দ-মিলিততনু শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর সেবা হইয়া থাকে। শ্রীগদাধর, শ্রীজগদানন্দ, শ্রীদামোদর-স্বরূপাদি শক্তিবর্গে শ্রীগৌরসুন্দরের রাধাভাব-বিভাবিত-চেষ্টা মধুর রস-লীলার উপকরণরূপে অভিব্যক্ত আছে, কিন্তু তাই বলিয়া কৃষ্ণলীলা স্তব্ধ করিয়া ঔদার্যলীলায় মধুর ভাবের কল্পনা রসাভাসদোষদুষ্ট। শ্রীবাসাদির বাৎসল্যযুক্ত দাস্যরস শুদ্ধভক্তির আদর্শ। উহা শ্রীনিত্যানন্দানুগজনগণের আরাধ্য বস্তু। শ্রীগদাধরপ্রমুখ শক্তিতত্তের আরাধনা শ্রীরূপ গোস্বামী প্রভৃতির অনুগ সম্প্রদায়ে পরিদৃষ্ট হয়। কাশীশ্বর, গোবিন্দাদি পরিকরবর্গে সরল সহজ দাস্য, শ্রীরামানন্দ, পরমানন্দ প্রভৃতির সখ্যাবরণে মধুর-রতির পূর্ণ বিকাশ; গৌড়মণ্ডল, ক্ষেত্রমণ্ডল ও ব্রজমণ্ডল প্রভৃতি আধার-সমূহে শান্ত রসের সেবন ভগবদ্ভক্তগণ লক্ষ্য করিয়া থাকেন।