এইমত শাস্ত্র বহে অর্থ নাহি জানে।
অধম সভায় অর্থ-অধম বাখানে ॥
সভায়—পাঠান্তর “স্বভাব”।
যে-সকল পণ্ডিতাভিমানী ভাগবতের অধ্যাপক -সূত্রে ভক্তিহীন বিচার-দ্বারা আত্মম্ভরিতা প্রদর্শন করে, তাহারা ভারবাহী। গর্দভের ন্যায় শাস্ত্র-বাক্য বহন করিয়া তদ্দ্বারা লাভবান্ হয় না। কেবল শাস্ত্রে বৃথা পরিশ্রম করিয়া ক্লেশ পায়। অযোগ্য শ্রোতৃবৃন্দের নিকট ভক্তি-বর্জিত ভাগবতপাঠক যে অর্থ ব্যাখ্যা করেন, তাহার সেই ব্যাখ্যা সর্বতোভাবে হেয়। “বিপ্রৈর্ভাগবতী বার্তা গেহে গেহে জনে জনে। কারিতা ধনলোভেন কথাসারস্ততো গতঃ।’’ (পাদ্মোত্তর ৬৩ অঃ)—
“যং বদন্তি তমোভূতা মূর্খা ধর্মমতদ্বিদঃ।
তৎপাপং শতধা ভূত্বা তদ্বক্তৃননুগচ্ছতি॥’’ (মনু ১২/১১৫)।
“ভৃতকাধ্যাপকে। যশ্চ ভৃতকাধ্যাপিতস্তথা।
শূদ্ৰশিষ্যো গুরুশ্চৈব বাগ্দুষ্টঃ কুণ্ডগোলকৌ ॥’’(—মনু ৩/১৫৬)
“অবৈষ্ণবমুখোদগীর্ণং পুতং হরিকথামৃতম্।
শ্রবণং নৈব কর্তব্যং সর্পোচ্ছিষ্টং যথা পয়ঃ॥’’ (—পাদ্মে।)
“শুদ্ৰাণাং সূপকারী চ যো হরের্নামবিক্রয়ী।
যো বিদ্যাবিক্রয়ী বিপ্রো বিষহীনো যথোরগঃ ॥’’
(— ব্রঃ বৈঃ) “ন শিষ্যাননুবধ্নীত গ্রন্থান্নৈবাভ্যসেদ্বহূন্ ।
ন ব্যাখ্যামুপযুঞ্জীত নারম্ভানারভেৎ ক্বচিৎ॥’’
(—ভাঃ ৭ /১৩/৮)।‘অহং বেদ্মি শুকো বেত্তি ব্যাসো বেত্তি ন বেত্তি বা। ভক্ত্যা ভাগবতং গ্রাহ্যং ন বুদ্ধ্যা ন চ টীকয়া॥’’—(চৈঃ চঃ মঃ ২৪/৩১৫ সংখ্যাধৃত প্রাচীনকৃত শ্লোকে শ্রীশিব-বাক্য)।