বিড়াল-কুক্কুর-আদি তোমার বাড়ীর।
সবার আমাতে ভক্তি হইবেক স্থির ॥
নিত্যানন্দপ্রভু সর্বতোভাবে আমার (গৌরসুন্দরের) রক্ষণীয় বস্তু,—ইহা তুমি (শ্রীবাস) অবগত আছ জানিয়া আমার সন্তোষের অবধি নাই। সর্বৈশ্বর্যাধিপতি নারায়ণের বক্ষঃস্থিতা লীদেবী কিংবা ধানাধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মী ঐশ্বর্য-
বিচ্যুত হইয়া যদি দরিদ্রতা-বশে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাও করেন, তথাপি নারায়ণীর প্রভাবে তোমার কোনদিন ‘অভাব’ বলিয়া কোন অবস্থা থাকিবে না । ভগবদ্ভক্তির বিচার তোমাতে যে প্রকার পরিস্ফুট হইয়াছে, তাহাতে অভক্তগণের জাগতিক ধনধান্যে লক্ষীমন্ত করিবার অধিকারিণী লীদেবীরও যদি কোনদিন অভাব উপস্থিত হয়, তাহা হইলেও তোমার অভাব হইবে না। তোমার ভগবানের প্রতি এতাদৃশী সেবাপ্রবৃত্তি যে, তোমার কথা দূরে যাউক, অথবা তোমার আত্মীয়স্বজনের কথা দূরে যাউক, তোমার গৃহের বিড়াল, কুক্কুর প্রভৃতি পালিত অবরজীবকুলও আমাতে অচলা-ভক্তি-বিশিষ্ট থাকিবে। আলবন্দারু ঋষি বলেন, “যদ্যপি ভগবদিচ্ছাক্রমে আমাকে এই ধরাধামে পুনরায় জন্ম গ্রহণ করিতে হয়, তাহা হইলে যেন ভক্তগৃহের কুক্কুর-মার্জারাদি অথবা কটাদি-স্বরূপেও ভগবাক্তের সঙ্গ পাই’ ‘সম্রাট কুলশেখর বলেন,—‘জন্মে জন্মে ভগবৎসেবাপ্রবৃত্তি-বিশিষ্ট জনগণের সঙ্গে যদি থাকিবার অবসর হয়, তাহা হইলে আমার মুক্তিও বরণীয়া নহে। ভগবদ্ভক্তের এতাদৃশ সঙ্গ-প্রভাব যে, তাঁহাদের ন্যূনাধিক সঙ্গ অবর প্রাণীতে সঞ্চারিত হইলে তাহাদিগেরও ভগবৎ-সেবোম্মুখতা-লাভের সুযোগ হয়। কোন বৈষ্ণব গাহিয়াছেন,—“বৈষ্ণবের গৃহে যদি হইতাম কুক্কুর । এঁঠো দিয়া তরাইতেন বৈষ্ণব ঠাকুর।