হেন দাস্যযোগ ছাড়ি’ আর যেবা চায়।
অমৃত ছাড়িয়া যেন বিষ লাগি’ ধায় ॥
গৌরসুন্দরের এই অভিব আদৰ্শ দেখিয়াও যে ব্যক্তি ভক্তি-পথ পরিত্যাগ-পূর্বক আত্মম্ভরি হইয়া সালোক্যাদি মক্তি-চতুষ্টয়ের পক্ষপাতী হয়, তাহার বিচার অমৃত ছাড়িয়া বিষে জর্জরিত হইবার সদৃশ। “বাসুদেবং পরিত্যজ্য যোহন্যদেবমুপাসতে। ত্যক্ত্বামৃতং স মূঢ়াত্মা ভুংক্তে হলাহলং বিষম্॥’’ (—স্কান্দে)। “যস্তু বিষ্ণুং পরিত্যজ্য মোহাদন্যমুখাসতে। স হেমরাজিমুৎসৃজ্য পাংশুরাশিং জিঘৃক্ষতি॥’’ (—মহাভারতে) “শ্রীহরের্ভক্তিদাস্যং চ সর্বমুক্তেঃ পরং মুনে। বৈষ্ণবানামভিমতং সারাৎসারং পরাৎপরম্ ॥’’ (—নাঃ পঃ রা ২/৭/ ৭)। “নাস্তি দাস্যাৎ পরং শ্ৰেয়ো নাস্তি দাস্যাৎ পরং পদম্। নাস্তি দাস্যাৎ পরো লাভো নাস্তি দাস্যাৎ পরং সুখম॥’’ (হরিভক্তিকল্পলতিকা)।