শ্রীবাস অঙ্গনে শ্রীহরিবাসরে ঊষঃকালে কীর্তন ও
নৃত্যের শুভারম্ভ—
শ্রীহরিবাসরে হরি-কীর্তন-বিধান।
নৃত্য আরম্ভিলা প্রভু জগতের প্রাণ ॥
শ্রীহরিবাসর-উপবাস দিবসে ভগবান্ গৌরসুন্দর নৃত্যের সহিত বিহিত হরিকীর্তন আরম্ভ করিলেন। শ্রীহরিবাসর,— শ্রীহরির দিন অর্থাৎ একাদশী, দ্বাদশী ও শ্রীহরির জন্মতিথি-সমুহ ।
শ্রীহরিবাসরে উপবাস-পূর্বক ভক্তি-সহকারে হরিকে চিন্তন ও হরিমন্ত্র জপ করিয়া এবং হরিকর্মপরায়ণ ও তদ্গতমনা হইয়া কামনাবিহীন হইলে প্রহ্লাদবৎ নিঃসন্দেহে হরিনাম প্রাপ্ত হওয়া যায়। মহতী শ্রদ্ধা-সহকারে শ্রীহরির অর্চনপূর্বক গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, অত্যুত্তম নৈবেদ্য, বিবিধ উপহার, জপ, হোম, প্রদক্ষিণ, নানারূপ স্তুতি, চিত্তরঞ্জন নৃত্য, গীত, বাদ্য, দণ্ডবন্নমস্কার ও দিব্য জয়শব্দ-সহকারে এইরূপে অর্চন করিয়া নিশাভাগে জাগরণ করিয়া থাকিবে কিম্বা শ্রীহরিকথা কীর্তন করাই হরিপরায়ণের কর্তব্য। ( —শ্রীহরিভক্তি-বিলাস)।