“মুকুন্দ, আমার তুমি কৈলে বন্ধুকার্য।
দেখাইলে ভক্ত বিদ্যানিধি ভট্টাচার্য ॥
পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি-প্রকৃত প্রস্তাবে ‘ভক্তি-বিদ্যানিধি’ । সাধারণতঃ লোকে তাঁহাকে ‘বিদ্যানিধি’ই বলে। তাদৃশ ভক্তি-বিদ্যানিধির স্বরূপোপলব্ধি হইলে গদাধর জড়বিচারপর মুর্খগণের দর্শনের সহিত ভক্তের দৃষ্টির পার্থক্য প্রদর্শন করিলেন। ভগবদ্ভক্তের নির্দেশের প্রতি যাঁহাদের আস্থা নাই, তাঁহারা অনেক সময় অভক্তজনোচিত আদর্শকে ভক্তগণের ক্রিয়ার সহিত সমান জ্ঞান করেন ।শ্রীনবদ্বীপ-ধামপ্রচারিণী-সভার সদস্যগণ ও শ্রীবিশ্ববৈষ্ণব-রাজসভার সেবকগণ ভক্তিসূচক পদবীদ্বারা ভক্তের যে সম্মান নির্দেশ করেন, তাহা বুঝিতে না পারিয়া অভক্তগণ যে ভ্রান্তির মধ্যে পতিত হন, এবং ভক্তাভক্তের পর্যায় ভেদ-নিরূপণে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন, উহাকে অকিঞ্চিৎকর দেখাইবার জন্যই শ্রীগৌরলীলায় পুণ্ডরীক ও গদাধরের এই লীলা প্রদর্শন।