“হেন মহাশয়ে আমি অবজ্ঞা করিলুঁ।
কোন্ বা অশুভক্ষণে দেখিতে আইলুঁ ॥”
গদাধর পণ্ডিত বিদ্যানিধি মহাশয়ের বিলাসোপকরণ ও তাহার ভোগনৈপুণ্য-দর্শনে তাঁহাতে ভগবদ্ভক্তির অভাব আছে মনে করিয়াছিলেন, কিন্তু পূতনার প্রতি কৃষ্ণানুগ্রহকথা মুকুন্দের মুখে গীত হইতে শুনিয়া বিদ্যানিধির যেরূপ আঙ্গিক বিকার-সমূহ ও বিলাসোপকরণসমূহের প্রতি ঔদাসীন্য দর্শন করিলেন, তাহাতে তাঁহার বিস্ময় উৎপন্ন হইল। সাধারণ মূঢ় ব্যক্তিগণ রূপ, রস, গন্ধ, শব্দ, স্পর্শাদিতে কিপ্রকার অভিনিবিষ্ট এবং বিদ্যানিধি মহাশয় ঐ সকল বিষয়ে কি প্রকার নিস্পৃহ হইয়া তত্তদ্বস্তুর সান্নিধ্যে ও আপনাকে উহাদের সহিত সংশ্লিষ্ট না করিয়া অন্তঃস্থিত প্রবৃত্তিবলে কৃষ্ণসেবায় উদ্গ্রীব, তাহা সন্দর্শন-পূর্বক গদাধরের বিস্ময়াতিশয্য হইল এবং তিনি এরূপ মহাভাগবতকে সাধারণ বিলাসিপুরুষ-সাম্যে বিচার করায় তাঁহার বৈষ্ণবাপরাধ হইয়াছে ভাবিয়া চিন্তাযুক্ত হইলেন।