শুনিয়া ত’ ভাল ভক্তি আছিল ইহানে।
আছিলা যে ভক্তি, সেহ গেল দরশনে॥
গদাধর পণ্ডিত গোস্বামী আকুমার ব্রহ্মচর্য ও বিলাস-সহচর বস্তু হইতে সর্বতোভাবে পৃথক্ অবস্থানকেই ‘ধর্ম’ বলিয়া জানিতেন। এক্ষণে পুণ্ডরীক বিদ্যানিধির এই সকল বিলাস-সহচর আস্বাব দেখিয়া তাঁহার মন্নে হইল যে, পুণ্ডরীক অতিবিলাসী হওয়ায় বিষ্ণুভক্তিবর্জিত আত্মন্দ্রিয়-সেবাপর। মুকুন্দের নিকট পুণ্ডরীক বিদ্যানিধির উত্তমা ভক্তির কথা শ্রবণ করিয়া তিনি মনে করিয়াছিলেন যে, বাহ্য-বিষয়-বিরাগযুক্ত ব্যক্তিরূপেই পুণ্ডরীককে দর্শন করিবেন। কিন্তু তাহার বিপরীত দেখিয়া তাঁহার পূর্বসঞ্চিত শ্রদ্ধার হানি হইল।