বিদ্যানিধির বিষয়ীর আবরণে মূঢ়জন-বঞ্চনা—
বিষয়ীর প্রায় তার পরিচ্ছদ-সব।
চিনিতে না পারে কেহ, তিঁহো যে বৈষ্ণব॥
কৃষ্ণের লীলা বিষয়ীর আধ্যক্ষিক-জ্ঞান-গম্য নহে। কৃষ্ণদাসগণও সময়ে সময়ে সেইরূপ অপরিচিত হইয়া বিষয়ের আবরণ প্রদর্শন-পূর্বক জগতের জীবকে বঞ্চনা করেন। সাধারণ ভোগদৃষ্টিসম্পন্ন মূঢ় বিচারকগণ কৃষ্ণকে অসৎ নায়ক মনে করিয়া তৎপ্রতি শ্রদ্ধাহীন হয়। কেহ বা কৃষ্ণকে ইতিহাস-প্রসিদ্ধ জন্ম-মরণযুক্ত অবস্থান্তরগত নরবিশেষ মনে করিয়া তাঁহার পরিচয় পায় না। কৃষ্ণের ভক্তগণও অনেক সময় অযোগ্যজনের নয়নে আত্মস্বরূপ প্রদর্শন করিতে কুণ্ঠিত হইয়া বিষয়ীর লীলাভিনয় প্রদর্শন করেন। বাহ্য বেশ দর্শন করিয়া যাহারা ভ্রান্ত হইবার যোগ্য, তাহাদের জন্য প্রচ্ছন্ন গৌরাবতারে পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি আপনাকে বিষয়ীর সজ্জায় স্থাপন করিয়াছিলেন।