‘নাড়া’ আইসে, ‘নাড়া’ আইসে’, বলে বারে বারে।
“নাড়া’ চাহে মোর ঠাকুরাল দেখিবারে॥”
অদ্বৈত-প্রভু শ্রীবাসের কনিষ্ঠ ভ্রাতা শ্রীরামাইকে বলিলেন,—তুমি মহাপ্রভুকে বলিবে যে, অদ্বৈত আসিলেন না, তাহাতে মহাপ্রভুর কিরূপ বিচার হয়, আমি দেখিতে চাই। আমি নন্দনাচার্যের ঘরে লুকাইয়া থাকিব, আর তুমি মহাপ্রভুকে গিয়া ঐরূপ বলিও। এই পরামর্শ অন্তর্যামী শ্রীগৌরাঙ্গ অবগত হইলেন এবং শ্রীবাসের বাড়ীতে তাঁহাদের গৃহ-দেবতা নারায়ণের সিংহাসনোপরি বসিয়া “নাড়া আসিতেছে” বলিয়া পুনঃ পুনঃ চীৎকার করিতে লাগিলেন। প্রভু আরও বলিলেন, ‘নাড়া’ (অদ্বৈতাচার্য) আমার অন্তর্যামিত্ব পরীক্ষা করিতে চায়। আমি তাহার কারচুপী বুঝিতে পারি কিনা, তদ্বিষয়ে তাহার হয়ত সন্দেহ আছে, অথবা আমাকে বহির্জগতে প্রকাশ করিবার জন্য কপটতা বিস্তার করিয়াছে।