তথাহি—
“নমো ব্রহ্মণ্যদেবায় গোব্রাহ্মণহিতায় চ।
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ॥”
শ্রীঅদ্বৈত আচার্য-প্রভু শাস্ত্র-দৃষ্ট্যে পাঞ্চরাত্রিক-বিধানে মহাপ্রভুর অর্চন করিয়াছিলেন। “শাস্ত্র-দৃষ্ট্যে” ও “পটল-বিধানে”—এই শব্দদ্বয়-দ্বারা অদ্বৈত আচার্য প্রভু যে শ্রীগৌরমন্ত্রে গৌরপূজা করিয়াছিলেন, তাহাই শ্রীচৈতন্যভাগবতকার গৌরসেবোন্মুখগণের নিকট ইঙ্গিতে প্রকাশিত করিয়াছেন।এই পটলবিধান আমরা শ্রীধ্যানচন্দ্রের পদ্ধতিতে এবং উর্ধ্বান্মায়তন্ত্র প্রভৃতি পঞ্চরাত্র শাস্ত্রে দেখিতে পাই। উহাতে গৌর-মন্ত্রে গউর-পূজার বিধি প্রয়োগ-পদ্বতি বর্ণিত রহিয়াছে। অদ্বৈত আচার্যপ্রভু শাস্ত্র-দর্শন করিয়া পাঞ্চরাত্রিক-বিধানে মহাপ্রভুর পূজা করিয়াছিলেন পূজার অন্তে গৌরসুন্দরের বিষ্ণুত্ব জগতে প্রচার করিবার জন্য “নমো ব্রহ্মণ্যদেবায়” প্রভৃতি স্তবেমুখে মহাপ্রভুর স্তুতি করিয়াছিলেন।“নমো ব্রক্ষণ্যদেবায়” শ্লোকের দ্বারা শ্রীচৈতন্যভাগবতকার গৌরমন্ত্র বিরোধ করেন নাই ॥
মধ্য ২/১৩৭ শ্লোক দ্রষ্টব্য।