দেখিলেন নিত্যানন্দ প্রভু বিশ্বম্ভর ।
মালা তুলি’ দিলা তা’র মস্তক উপর ॥
শ্রীবাসের বাক্যে শ্রীনিত্যানন্দ প্রবুদ্ধ না হইয়া অস্ফুটস্বরে মালা হাতে করিয়া কিছু বলিতে বলিতে চারিদিকে চাহিলেন। শ্রীব্যাসের উদ্দেশে নমস্কার বা মালিকা প্রদান না করায় নিত্যানন্দের এতাদৃশ ব্যবহার শ্রীবাস মহাপ্রভুর নিকট অবগত করাইলে মহাপ্রভু মালা-দ্বারা শ্রীব্যাসপূজা করিবার জন্য নিত্যানন্দপ্রভুকে আদেশ করিলেন। মহাপ্রভু তাঁহার মস্তকের উপরে নিত্যানন্দকে মালা তুলিয়া দিতে দেখিলেন। শ্রীব্যাস যাঁহার আবেশাবতার, সেই মূল বস্তুকে মাল্য প্রদান করিয়া শ্রীনিত্যানন্দের ব্যাসপূজার সমাধান হইল ।ভগবান্ শ্রীচৈতন্যদেবে স্বীয় প্রকাশাবতারসমূহ, শক্তি ও ভক্ত—সকল তত্ত্বই সমাহিত আছে। সুতরাং “যথা তরোর্মূলনিষেচনেন” শ্লোকের তাৎপর্যানুসারে এবং “সত্ত্বং বিশুদ্ধং বসুদেব-শব্দিতং” শ্লোকের বিচারমতে এই মূল আকর বস্তু শ্রীচৈতন্যদেবের পূজাতে সকল গুরুর পূজাই হইয়া যায়। শ্রীগুরুপারম্পর্য-বর্ণনেও শাস্ত্র বলেন,---“শ্রীকৃষ্ণ-ব্রহ্মা-দেবর্ষি বাদরায়ণ-সংজ্ঞকান্। শ্রীমধ্ব-শ্রীপদ্মনাভ-শ্ৰীমন্নৃহরি-মাধবান্ ।অক্ষোভ্য-জয়তীর্থ-শ্রীজ্ঞানসিন্ধু-দয়ানিধীন্ ।শ্রীবিদ্যানিধি-রাজেন্দ্র জয়ধর্মান্ক্রমাদ্বয়ম্ ॥ পুরুষোত্তম ব্ৰহ্মণ্য-ব্যাসতীর্থাংশ্চ সংস্তুমঃ ।ততো লক্ষ্মীপতিং শ্রীমন্মাধবেন্দ্রঞ্চ ভক্তিতঃ ।তচ্ছিয্যান্ শ্রীশ্বরাদ্বৈত-নিত্যানন্দান্ জগদ্গরূন্ । দেবমীশ্বরশিষ্যং শ্রীচৈতন্যঞ্চ ভজামহে ।’’