ঈশ্বরের চরিত্র অন্যের দুর্জ্ঞেয়ে:—
কে বুঝয়ে ঈশ্বরের চরিত্র অখণ্ড ।
কেনে ভাঙ্গিলেন নিজ কমণ্ডলু-দণ্ড ॥
শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু নিজ কমণ্ডলু ও দণ্ড কোন্ উদ্দেশ্যে ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন, ‘তাহা বিচার করিতে গিয়া অনেকের হৃদয়ে অনেক প্রকার ধারণার উদয় হয়। সেই সকল ‘আধ্যক্ষিক ধারণার সহিত শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর উদ্দেশ্যের কতদূর সঙ্গতি আছে, তাহাই বিচার্য। কেহ বলেন—ভগবদুপাসনায় বিধি-চিহ্ন প্রভৃতির আবশ্যকতা নাই। রাগের পথে ঐগুলি অন্তরায় মাত্র। অপর পক্ষ বলেন, রাগপথের অন্তরায় জানিয়া অনধিকারীর বিধিভঙ্গে উচ্ছৃঙ্খলতা উপস্থিত হয়। “শ্রুতি-স্মৃতি-পুরাণাদিপঞ্চরাত্রবিধিং বিনা ।ঐকান্তিকী হরের্ভক্তিরুৎপাতায়ৈব কেবলম্ ॥’’ শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর ন্যায় অবধূত পরমহংসের বৈধ যতির ব্রহ্মচারী-চিহ্ন জগতের খর্বদর্শনে নানাপ্রকার ভক্তিবাধক ধারণা উৎপন্ন করিবে, এজন্য বর্ণাশ্রমের বিধি সমূহের অতীত প্রভু নিত্যানন্দের এই সকল আনুষ্ঠানিক ব্যাপার অপসারিত হইয়াছে। কিন্তু তাই বলিয়া যাঁহারা জড়াভিনিবেশ-বশতঃ আনুকরণিক -সূত্রে কৃত্রিমতাবলম্বনে নিজ মহিমা বিস্তারের উদ্দেশ্যে অধিকার বহির্ভূত কার্য করিবেন, তদ্দ্বারা তাঁহাদের কোন মঙ্গল হইতে পারে না।সকল অনধিকারীই কিছু অধিকারী নহে।
“নৈতৎ সমাচরেজ্জাতু মনসাপি হ্যনীশ্বরঃ।
বিনশ্যত্যাচরন্মৌঢ্যাদ্যথাহরুদ্ৰোঽব্ধিজং বিষম্॥’’ (ভাঃ ১০/৩৩/৩০)
প্রভৃতি উপদেশের যেন অনাদর না হয়। “কো বেত্তি ভূমন্ ভগবন্ পরাত্মন্ যোগেশ্বরোতীৰ্ভবতস্ত্রিলোক্যাম্।ক্ব বা কথং বা কতি বা কদেতি বিস্তারয়ন্ ক্রীড়সি যোগমায়াম্ ॥’ (—শ্রীমদ্ভাগবত ১০ /১৪/২১ )।