Normal view
Book Lang.: বাংলা
English
संस्कृता वाक्
Translation

শ্লোক 157

Language: বাংলা
Language: English Translation
  • কেহ নাচে, কেহ গায়, কেহ গড়ি’ যায় ।
    সবেই চরণ ধরে, যে যাহার পায় ॥

    বৈষ্ণবেরা পরস্পরের পদরেণু গ্রহণে স্ব-দৈন্য জ্ঞাপন করেন ।সাংসারিক উচ্চাবচ বিচারে জীব অহংকারবিমূঢ়াত্মা হইয়া স্বীয় মর্যাদা-স্থাপন-মানসে অপরের নিকটে সম্মান গ্রহণ করেন ।বৈষ্ণব—অমানী, সুতরাং অনভিজ্ঞ সাংসারিক জনগণের ন্যায় নিজের মান সম্বর্ধনের জন্য যত্ন করেন না ।তিনি সকলকে সম্মান দেন ।এজন্য উচ্চাবচ-বিচার-রহিত মহাভাগবত অধিকারে আ-শ্ব-গোখর-চন্ডাল, বিদ্যাবিনয়-সম্পন্ন ব্রাহ্মণ বৈষ্ণবের প্রণম্য হন ।যাঁহাদের বৈষম্য-দর্শন প্রবল, তাঁহারা কখনই ব্রহ্মজ্ঞ নহেন অর্থাৎ সমগ্র অদ্ব্য-জ্ঞানে অনধিকারী ।প্রত্যেক জীবে ও প্রত্যেক জড়-পরমাণুতে বিষ্ণু অধিষ্ঠিত এবং তাহারাই হরিমন্দির, একথা ত্রিগুণবিধ্বস্ত ব্রাহ্মণব্রুবগণ বুঝিতে পারেন না ।বৈষ্ণবেরাই তাঁহাদিগের শ্রীগুরুদেবের স্থানে অভিষিক্ত হইয়া তাঁহাদিগকে বেদমন্ত্রের উপদেশ দিয়া থাকেন । “যস্য দেবে পরাভক্তির্যথা দেবে তথা গুরৌ ।তস্যৈতে কথিতা হ্যর্থাঃ প্রকাশন্তে মহাত্মনঃ ।।”বিষম দৃষ্টিতে গুঢ়ার্থ প্রকাশিত হয় না,উহা বহিঃপ্রজ্ঞা-চালনের ফলমাত্র ।মায়িক-বিচার ব্রহ্ম প্রভৃতি ‘বৈকুণ্ঠ’ বা ‘বৈষ্ণব’।সুতরাং তাঁহাদের বন্ধমোক্ষের উপলব্ধি সর্বদা বর্তমান ।এজন্য তাঁহারা তৃণাদপি সুনিচ, তরুর ন্যায় সহ্যগুণসম্পন্ন,অমানী ও মানদ হইয়া সর্বদা শব্দ-মুখে,গীতি-মুখে কৃষ্ণসেবা করেন।

Page execution time: 0.0432960987091 sec