বিষ্ণু পূজিয়াও যে প্রজার পীড়া করে ।
পূজাও নিস্ফলে যায়, আর দুঃখে মরে ॥
জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে যদি কেহ নিষ্কপটে হরিসেবারত বৈষ্ণবের হিংসা করেন, তাঁহার অমঙ্গল অনিবার্য, —এ বিষয়ে সন্দেহ নাই এতদ্ব্যতীত যাহারা মনুষ্যনামের অযোগ্য হইয়া জীব মাত্রেরই হিংসা করে, তাহাদিগকে পীড়ন করে, তাদৃশ ব্যক্তি ‘বিষ্ণুভক্ত’ বলিয়া পরিচিত হইতে ইচ্ছা করিলেও তাহার বিষ্ণুভক্তি সেব্যবস্তুর নিকট উপনীত হইতে পারে না ।তাহার বিষ্ণুপূজাও দুঃখে পরিণত হয় ।জীবে দয়ার অভাব-বিশিষ্ট হইয়া দম্ভক্রমে যাহার বিষ্ণু-সেবক বলিয়া অভিমান হয়, তাহার ভক্তির পরিবর্তে ত্রিবিধ-তাপ লভ্য হয়।