ঈশ্বরের স্বভাব—কেবল ভক্তবশ ।
বিশেষে প্রভুর মুখে শুনিতে এ যশ ॥
‘ভগবান্ ভক্তের বশ, ইহাই তাঁহার স্বভাব ।“অহং ভক্তপরাধীনো হৃস্বতন্ত্র ইব দ্বিজ । সাধুভির্গ্রস্তহৃদয়ো ভক্তের্ভুক্তজনপ্রিয়ঃ ॥ ময়ি নির্বন্ধহৃদয়াঃ সাধবঃ সমদর্শনাঃ ।বশে কুর্বন্তি মাং ভক্ত্যা সৎস্ত্রিয়ঃ সৎপতিং যথা॥’’ (—ভাঃ ৪/৯/৬৩, ৬৬) অর্থাৎ শ্রীভগবান্ কহিলেন,—হে দ্বিজ! হে মুনে! আমি ভক্তের অধীন (রুদ্রাদি দেবতা যেরূপ আমার অধীন হইয়া তোমাকে রক্ষা করিতে সমর্থ হন নাই, আমিও তদ্রূপ ভক্তের অধীন, সুতরাং তোমাকে রক্ষা করিতে অসমর্থ) সুতরাং অস্বতন্ত্রের ন্যায় ।মুক্তি পর্যন্ত-বাসনারহিত ভক্তগণ আমার হৃদয়কে গ্রাস করিয়াছে । ভক্তের কথা কি, ভক্তের ‘পাল্যজনসমূহও আমার প্রিয় ।সতী স্ত্রী যেরূপ সৎপতিকে বশীভূত করিয়া থাকে, আমাতে আসক্তচিত্ত সমদৃষ্টিসম্পন্ন সাধুগণও তদ্রূপ ভক্তিপ্রভাবে আমাকে বশীভূত করেন ।“ভক্তিরেবৈনং নয়তি ভক্তিরেবৈনং দর্শয়তি ভক্তিবশ পুরুষো ভক্তিরেব ভূয়সী।’’ (—মাঠর-শ্রুতিবচন) অর্থাৎ ভক্তিই জীবকে ভগবানের নিকট লইয়া যান, ভক্তিই জীবকে ভগবদ্দর্শন করান, সেই পরম পুরুষ ভগবান্ একমাত্র ভক্তির বশ, ভক্তিই সর্বশ্রেষ্ঠা।