নিত্যানন্দের উত্তর:—
নিত্যানন্দ জানিলেন প্রভুর ইঙ্গিত।
হাতে ধরি’ আনিলেন শ্রীবাস পণ্ডিত ॥
জগদ্গুরু শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু পরিব্রাজকের আশ্রিত এবং শ্রীমধ্ব-সম্প্রদায়ের অনুগত-লীলাভিনয়কারী লক্ষ্মীপতি যতির (তীর্থের) ব্রহ্মচারী ছিলেন। তজ্জন্য প্রত্যেক পূর্ণিমায় ক্ষৌর-বিধানানন্তর যতিকৃত্য-বিচারে ব্যাসপূজার দিন আগত হইয়াছে জানিতে পরিলেন। শ্রীমহাপ্রভু পূর্ণিমা আগত দেখিয়া, নিত্যানন্দপ্রভু কোথায় ব্যাসপূজা করিবেন, তদ্বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলেন। সাম্প্রদায়িক সন্ন্যাসী বা ব্রহ্মচারীরই পূর্ণিমা মুখে যতি-কৃত্যের অন্তর্গত ব্যাসপূজা। ‘শ্রীব্যাসপূজা’ শব্দে শ্রীগুরুবর্গের তর্পণ ও শ্রাদ্ধ উদ্দিষ্ট হইয়াছে। শ্রীগৌরসুন্দর সেইকালে সন্ন্যাস গ্রহণের লীলা আবিষ্কার করেন নাই। কিন্তু শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু তীর্থপাদ যতিবরের সেবক-লীলাভিনয়সূত্রে নৈষ্ঠিকব্রহ্মচর্যানুষ্ঠান-লীলায় নিযুক্ত ছিলেন। তাঁহার ব্রহ্মচারী নামে আমরা ‘শ্রীন্যিতানন্দস্বরূপ’- শব্দের প্রয়োগ দেখিতে পাই। পূর্বকাল হইতেই ‘তীর্থ’ ও ‘আশ্রম’—এই যতিদ্বয়ের ব্রহ্মচারিগণ ‘স্বরূপ’—সংজ্ঞায় প্রসিদ্ধ ছিলেন।