আবিষ্ট হইয়া প্রভু গৌরাঙ্গসুন্দর।
নিত্যানন্দে স্তুতি করে—নাহি অবসর ॥
গৌরসুন্দর আবেশভরে নিরবচ্ছিন্নভাবে নিত্যানন্দের স্তুতি করিতে লাগিলেন। তিনি বলিলেন, —“তুমি ভগবানের পূর্ণশক্তি সন্ধিনীশক্তিমদ্বিগ্রহ। তোমার সেবা করিলেই জীবগণের কৃষ্ণসেবা-প্রবৃত্তি প্রকাশিত হয়। হে নিত্যানন্দ, তুমি সত্য, জন, মহঃ, তপঃ, ভূঃ, ভূবঃ ও স্বর-এই সপ্ত ব্যাহৃতি ও অতলাদি সপ্তলোক অনায়াসে পবিত্র করিতে সমর্থ। তোমার অনুষ্ঠান---জীবের চিন্তার অতীত। তোমার গুপ্ত ভাবসমূহ—জীবের দুষ্প্রবেশ্য। তোমার তত্ত্ব অবগত হইতে কেহই সমর্থ নহে। তুমি—সাক্ষাৎ কৃষ্ণপ্রেমভক্তিস্বরূপ মূর্ত-বিগ্রহ। অল্পক্ষণের জন্য যিনি তোমার সঙ্গলাভ করেন, তঁহার কোটি পাপ থাকিলেও তাঁহাকে ‘মন্দভাগ্য’ বলা যাইবে না। পাপী হইয়াও তিনি সৌভাগ্যবান্। আমি বেশ বুঝিতে পারিয়াছি, আমাকে উদ্ধার করিবার জন্য ভগবান্ কৃষ্ণ তোমার সাক্ষাৎকার করাইয়াছেন। তোমাকে যে ভজন করিবে, তাহারই কৃষ্ণপ্রেমধন লভ্য হইবে। আমি যখন তোমার পাদপদ্মাদর্শন সৌভাগ্য লাভ করিয়াছি, তখন আমারও বিশেষ সৌভাগ্যের উদয় হইয়াছে।