“প্রাণভিক্ষা করিলেন আমার সন্ন্যাসী।
না দিলেও ‘সর্বনাশ হয়’ হেন বাসি ॥
বৈষ্ণব-ন্যাসীর হৃদয়বিদারিণী কথা শ্রবণ করিয়া ব্রাহ্মণ অত্যন্ত কাতর হইয়া পড়িলেন এবং মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন। যে,—“আমি শরীরমাত্র, আমার জ্যেষ্ঠ পুত্রটি আমার প্রাণ, সুতরাং সন্ন্যাসী এই প্রাণটি অপহরণ করিয়া আমার শরীরমাত্র এখানে ফেলিয়া রাখিয়া চলিয়া যাইবেন। যদি আমি তাঁহার প্রার্থনা পূরণ না করি তাহা হইলেও বিষম বিপদ’।