প্রাণ-অতিরিক্ত আমি দেখিব উহানে।
সর্ব-তীর্থ দেখিবেন বিবিধ-বিধানে ॥”
বৈষ্ণব-যতি বলিলেন,—আমার একটি প্রার্থনা আছে। তদুত্তরে হাড়াইপণ্ডিত তাঁহাকে প্রার্থনা জানাইবার অনুমতি দিলেন। সন্ন্যাসী বলিলেন,—আমি সম্প্রতি ‘তীর্থ-পর্যটনে ব্যস্ত আছি। অগ্নিপ্রজ্বলিত করিয়া রন্ধনাদি-কার্য যতির ধর্ম নহে বলিয়া এবং সর্বত্র ব্রাহ্মণের অভাব থাকা হেতু ভোজন-সময়ে ভোজ্যের অপ্রাপ্তি-নিবন্ধন আমার একটি ব্রাহ্মণ-সহচরের আবশ্যকতা আছে। কিছুদিনের জন্য তোমার এই জ্যেষ্ঠপুত্রকে আমার সহিত দিলে, আমি উহাকে আমার প্রাণাপেক্ষাও অধিক ভালবাসিব, আর তোমার পুত্রেরও নানা-তীর্থ-পর্যটনরূপ শিক্ষালাভ ঘটিবে।