পাছে যদি নিত্যানন্দচন্দ্র চলি’ যায়।
তিলার্ধে শতেকবার উলটিয়া চায় ॥
প্রভু নিত্যানন্দ সাধারণ কর্মলাভিলাষী মায়াবদ্ধজীবের ন্যায় মাতাপিতার স্নেহে আবদ্ধ না থাকায় জীবগণের মঙ্গলের জন্য গৃহ পরিত্যাগ করিতে মানস করিলেও পরমবৎসল মাতাপিতা তাঁহাকে এক মূহূর্তের জন্যও ছাড়িয়া দেন না। এজন্য নিত্যানন্দপ্রভু বিষগ্ন হইলেন। মাতাপিতা অল্প সময়ের জন্যও তাঁহাকে চক্ষুর অন্তরালে অবস্থিত হইতে অভিলাষ না করায় সর্বদাই উভয়ে তাঁহার নিকট থাকিতেন। তাঁহারা গৃহ-কর্মে, কৃষি-কার্যে ও পৌরহিত্য-কার্যে, ভ্রমণকালে, দ্রব্যাদি আহরণ-কালে সর্বদাই ‘পুত্র গৃহত্যাগ করিবেন’---আশঙ্কায় সর্বক্ষণ পশ্চাদ্ভাগে অনুসরণকারী পুত্রের প্রতি পুনঃ পুনঃ দৃষ্টিপাত করিতেন।