বড় গূঢ় নিত্যানন্দ এই অবতারে।
চৈতন্য দেখায় যারে, সে’ দেখিতে পারে ॥
শ্রীচৈতন্যদেবের প্রিয় সেবকগণই তৎকৃপায় শ্রীনিত্যানন্দের স্বরূপ অবগত হইতে পারেন। মায়াবদ্ধ-জীবে শ্রীনিত্যানন্দের চরণাশ্রয় সম্ভব নহে; শ্রীচৈতন্যের কৃপারূপ চৈত্তাগুরুর অনুকম্পায় নিত্যানন্দতত্ত্ব উপলব্ধ হয়। সাধারণ চৈতন্যবিমুখ অনভিজ্ঞ জনগণ চৈতন্যভক্ত বলিয়া বৃথা গর্ব করিতে গিয়া অত্যন্ত নিগূঢ় নিত্যানন্দের লীলা বুঝিতে অসমর্থ হয়। যাহাদের চৈতন্যের উন্মেষ হয় নাই, তাহাদের পক্ষে অনুদঘাটিত নিত্যানন্দরহস্যময়ী লীলায় প্রবেশাধিকার নাই। অনভিজ্ঞ মুঢ়জন নিত্যানন্দের লীলা দেখিয়া তাঁহার প্রতি বিতৃষ্ণার ভাব প্রদর্শন করে। তজ্জন্য যমদণ্ডিত হইয়া অশেষ ক্লেশই তাহাদের পরিণামে লক্ষিত হয়।