পূজয়ে গোবিন্দ যেন, না মানে’ শঙ্কর।
এই পাপে অনেকে যাইব যম-ঘর ॥
যেরূপ ভগবানের পূজা করিয়া ভক্তপূজায় অনেক উদাসীন হইয়া ভক্তের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করে এবং তৎফলে তাদের যমগৃহে দণ্ডিত হইবার যোগ্যতা লাভ ঘটে, তদ্রূপ ভগবান্ গৌরসুন্দরের প্রতি শ্রদ্ধান্বিত হইয়া বলদেবপ্রভু নিত্যানন্দের প্রতি যাঁহারা শ্রদ্ধার অভাব প্রদর্শন করেন, তাঁহাদের অপরাধ নিবন্ধন দুর্ভাগ্যের ফলস্বরূপ দণ্ডিত হইতে হয়।
শ্রীরুদ্রদেব বৈষ্ণবদিগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, তিনি আচার্য ও বিষ্ণু-ভক্তির শিক্ষক, সুতরাং তাঁহার প্রতি অবজ্ঞা করিলে জীবের কোন মঙ্গল হয় না। মহাদেব হইতে যেমন বিষ্ণুস্বামিসম্প্রদায়ের শিষ্যপারম্পর্যক্রমে উদ্ভূত হইয়াছে, তদ্রূপ শ্রীনিত্যানন্দের কৃপায় জগতে শুদ্ধভক্তিধর্মের প্রচার হইয়াছে। “অৰ্চয়িত্বা তু গোবিন্দং তদীয়ান্নাৰ্চয়ন্তি যে।ন তে বিষ্ণুপ্ৰসাদস্য ভাজনং দাম্ভিকা জনাঃ।।’’
অদ্বজ্ঞান ব্রজেন্দ্রনন্দন ও কার্ষ্ণসমূহ—শক্তি-শক্তিমানের অভেদবিচারে একই বস্তু। যাঁহারা পরস্পর বিষ্ণু-বৈষ্ণবে বিরোধ বিচার করেন, তাঁহাদের কোন মঙ্গলের সম্ভাবনা নাই ।