Normal view
Book Lang.: বাংলা
English
संस्कृता वाक्
Translation

শ্লোক 124

Language: বাংলা
Language: English Translation
  • নন্দন-আচার্য মহাভাগবতোত্তম।
    দেখি মহাতেজোরাশি যেন সূর্যসম

    মহাভাগবতোত্তম,—সর্বশ্রেষ্ঠ উত্তমাধিকারীই ভগবদ্ভুক্ত।

    “সর্বভূতেষু যঃ পশ্যেদ্ভগবদ্ভাবমাত্মনঃ
     ভূতানি ভগবত্যাত্মন্যেষ ভাগবত্তেমঃ
    ।।

    অর্থাৎ যিনি দৃশ্য জগতের ভোগ্যবস্তু দর্শন না করিয়া অন্তর্ভাবময়-ভগবৎসম্বন্ধে সংশ্লিষ্ট, দেহদেহি-ভেদ-রহিত বৈকুণ্ঠবস্তু দর্শন করেন, যাঁহার দর্শনে জড়প্রতীতি-জন্য ভোক্তৃভাবের উদয় হয় না, সর্বক্ষণ সেবানিরত হইয়া জ্ঞেয়বস্তু ভগবানের সেবা করিয়া থাকেন, সকল ভূত ভগবৎসেবায় উন্মুখ হইয়া ‘ভগবানে অবস্থিত দর্শন করেন, তাঁহাকেই ভাগবতোত্তম বলা হয়। এতাদৃশ মুক্তপুরুষগণের অগ্রণী-সূত্রে মহাভাগবতোত্তম শ্রীনিত্যানন্দপ্রভু ভগবৎসেবকগণের মূল আকর-বস্তু। তিনি পরমদীপ্তিবিশিষ্ট ও চিদালোকের আধার। তাঁহা হইতেই নিঃসৃত আলোকরাশি বিকীরিত হইয়া জীবমাত্রের স্বরূপ উদ্বোধন করে। তদাশ্রিত জনগণও তাদৃশ জ্যোতির্ময় হইতে পারেন। জড়প্রতীতিতে চিদালোকের অভাব, চিন্ময় ভাবের অনুভূতি ব্যতীত জীবের স্বরূপ বোধের মলিনতা দূর হয় না। তাঁহা হইতে নিঃসৃত অজ্ঞান-তমো-বিনাশকারী চিদালোক কোন প্রকারে কাহারও চিত্ত-গুহায় প্রবিষ্ট হইলেই তাঁহার অজ্ঞানতমো নাশ করে।

Page execution time: 0.032604932785 sec