তুমি সে জগদ্গুরু জানিল নিশ্চয়।
তোমার গুরুর যোগ্য কেহ কভু নয়।
কতিপয় সংখ্যক শিষ্যের গুরু বা একব্যক্তির গুরু স্ব-স্ব অনুরূপ যোগ্যতা দেখিয়া শিষ্যকে স্বীকার করেন এবং আমাদের ন্যায় সর্বতোভাবে পতিতদিগকে বাদ দেন। কিন্তু যিনি সর্বপ্রাণীতে ভগবদ্ভাব দর্শন করিয়া আপনাকে সকলের শিষ্য জ্ঞান করেন, তিনি জগদ্গুরু হইতে পারেন। শ্রীগৌরসুন্দর স্বীয় ভজন-প্রণালীর মধ্যে তৃণাপেক্ষা সুনীচ, তরুর ন্যায় সহিষ্ণু, অমানী ও মানদ হইয়া সর্বক্ষণ কৃষ্ণ-ভজন করিতে হইবে—এই বাহ্যাভ্যন্তর নিষ্কপট ভজন শিক্ষা দেওয়ায় তিনিই সর্বোপাস্য ব্রজেন্দ্রনন্দন ও প্রকৃত জগদ্গুরু। যাঁহারা শ্রীচৈতন্যের সেবক, তাঁহারাও জগদ্গুরু; কেন না, আমার ন্যায় সর্বাধম পতিত পাষণ্ডীকেও তিনি দাসরূপে। গ্রহণ করিয়া স্বীয় সেবায় অধিকার দান করিতে পারেন—আমি জগতের বাহিরে নহি। বৈষ্ণববোচিত প্রকৃত দৈন্য না থাকিলে কখনও কেহ গুরুর কার্য করিতে পারে না; কেশবভারতী বৈষ্ণবোচিতগুণে বিভূষিত ছিলেন।