লোক-শিক্ষা-নিমিত্ত সে আমার সন্ন্যাস।
এতেকে তোমরা সব চিন্তা কর নাশ।”
লোক শিক্ষার জন্যই শ্রীগৌরসুন্দর সন্ন্যাস করিয়াছিলেন সেই সন্ন্যাসের ফলে তিনি ভারতের বহুস্থানে বহু ব্যক্তির মধ্যে কৃষ্ণ কোথায় কিরূপভাবে লীলা করিতেছেন’, —ইহা দেখিবার সুযোগের অভিনয় করিয়াছিলেন বহু জ্ঞাতার অভাবে ‘গৌড়ীয়- বৈষ্ণব’-নামধারিগণের মধ্যে যে বিষম অপরাধময় চিন্তা-স্রোত প্রবাহিত হইয়াছে, তাহা হইতে উহারা সন্ন্যাস গ্রহণ না করিলে উহাদের কোন মঙ্গলই হইবে না। ভক্তির প্রতিকূলবিষয়-ত্যাগই প্রধান লোকশিক্ষা। ভোগ-প্রতীতিতে জগদ্দর্শনে কখনও ভক্তির স্বরূপ উপলব্ধি হয় না। সম্ভোগবাদের বিচারটি এই কুণ্ঠাযুক্ত রাজ্যে প্রাকৃত সহজিয়াবাদে পরিণত হয় ॥১৫॥