“করিল পিপ্পলিখণ্ড কফ নিবারিতে।
উলটিয়া আরো কফ বাড়িল দেহেতে।”
আমি জগতের বাহ্যদর্শনে প্রপীড়িত জীবগণের জন্য অনুদঘাটিত সত্য প্রচার করিবার বাসনা-মুখে চেষ্টা দেখাইলাম। কিন্তু তাহার ফল উহারা গ্রহণ করা দূরে থাকুক, বরং ভীষণতর অপরাধের বোঝা অধিক পরিমাণ নিজঙ্কন্ধে চাপাইয়া লইল। নদীয়াবাসী জীবগণের নিত্যমঙ্গলের কথা প্রচার করিতে গেলাম, তাহারা না বুঝিয়া আপাতদর্শনে বিমূঢ় হইয়া ‘শুদ্ধভক্তি’ প্রচারের বিরোধী হইয়া দাঁড়াইল। বৈদ্যক-শাস্ত্রে কফপীড়িতধাতু ব্যক্তিকে স্বাস্থ্য-লাভ করাইবার জন্য পিপ্পলিখণ্ড নামক ঔষধের ব্যবস্থাপ্রদান করা হয়। উক্ত ঔষধ-দ্বারা কফপীড়িত বা আর্ত জনগণের স্বাস্থ্যলাভ করা দূরে থাকুক, তাহাতে কফব্যাধি বৃদ্ধি পাইল। সাংসারিক ভোগি-সম্প্রদায় ভোগাবিবর্ধনের জন্যই কল্পিত ভগবানের উপাসনা করে; ভগবানের প্রীতির জন্য তাঁহারা কোন অনুষ্ঠান না করিয়া আত্মেন্দ্রিয়-তর্পণ-সাধনেই ব্যস্ত হয়। স্বীয় ভোগকেই তাহারা প্রয়োজন জ্ঞান করে,—সুদুর্লভ কৃষ্ণ ‘প্রেম-সেবা’র কোন সন্ধানই পায় না।