শেষে গদাধর-প্রতি বলিলেন বাক্য।
তুমি বিষ্ণু পূজ, মোর নাহিক সে ভাগ্য॥
শ্রীগৌরসুন্দর পাঞ্চরাত্রিক বিধান-মতে যতবার বিষ্ণুপূজার আয়োজন করিতেন, প্রত্যেক বারেই তিনি প্রেমে উন্মত্ত হইয়া তাদৃশ অর্চন-কার্যে যোগ্যতা দেখাইতে পারিতেন না। পুনঃ পুনঃ অর্চনে অকৃতকার্য হইয়া অবশেষে শ্রীগদাধর পণ্ডিতকে শ্রীকৃষ্ণবিগ্রহ অৰ্চন করিবার ভার প্রদান করিলেন—তিনি বলিতে লাগিলেন,—“আমি ‘ভাগ্যহীন, মর্যাদার সহিত বিষ্ণুপূজা করিতে আমি অসমর্থ।’’
এই লীলার দ্বারা শ্রীগৌরসুন্দর শ্রীগদাধর পণ্ডিতকে শ্রীগোপীনাথের সেবা প্রদান করায়, শ্রীপুরুষোত্তম-ক্ষেত্রে টোটামধ্যে বা কাননাভ্যন্তরে শ্রীগদাধর প্রভু তঁহার অর্চন করিতেন এবং মর্যাদাপথে শিষ্যাদি স্বীকার করিয়াছিলেন। শত শত জন্ম অর্জনের ফলে ভগবন্নাম-ভজনে জীবের প্রীতি উৎপন্ন হয়। শ্রীগদাধরকে সেই শ্রেণীর কর্মফল-সাধ্য জীব জ্ঞান না করিয়া মহাপ্রভুর পরম প্রিয়তম বলিয়া জানা আবশ্যক। শ্রীগৌরসুন্দরের ‘শিক্ষাষ্টক’ অর্চন-বিধানের চরম ফল শ্রীনাম-ভজনেরই উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে।