যে কাল পর্যন্ত ভগবানের ইচ্ছায় আমি শ্রীবাসের পুত্ররূপে থাকিতে পারিয়াছি, তদধিক কাল এরূপে থাকিতে পারিব না। আমাকে যেখানে যাইবার ব্যবস্থা করিয়াছেন, তদ্রূপ শরীরই অতঃপর ধারণ করিব ।
শ্রীগৌরসুন্দর ইহার মুখে জন্মান্তর-বাদের বিচার জগজ্জীবকে জানাইলেন। স্থূল শরীর ও সূক্ষ্ম আধার নিত্য কাল স্থিতিবান্ নহে। জীবাত্মা এই স্থূল সূক্ষ্ম-শরীরদ্বয়কে আবরণরূপে গ্রহণ করে এবং এই আবরণদ্বয়কে প্রয়োজনমত পুনরায় পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হয়। কর্মফলে কতৃত্বাভিমানবশে জীবের স্থূল সূক্ষ্ম-আবরণ গ্রহণ এবং স্থূল ও সূক্ষ্ম ভূমিকায় বিচরণ সংঘটিত হয়। কর্ম জ্ঞানভূমিকায় আত্মা কখনও বিচরণ করেন না। ভুক্তি ও মুক্তির আধারদ্বয় কখনও আত্মার অবস্থিতির যোগ্য স্থান নহে। শ্রীগৌরসুন্দর ও তাঁহার পার্ষদবর্গের সঙ্গ যে সকলেই সর্বক্ষণ লাভ করিবেন এইরূপ সুকৃতি সকলের নাই, তজ্জন্যই মানব জ্ঞানের মধ্যে ভুক্তি-মুক্তি পিপাসা ও ভগবৎসেবাবিমুখতা বর্তমান।