তা’রে বলি ‘সন্ন্যাসী’, যে কিছু নাহি চায়।
বোলায় ‘সন্ন্যাসী’, দিনে তিনবার খায়॥
শ্রীঅদ্বৈত বলিলেন—“সন্ন্যাসীর ধর্ম—কাহারও নিকট হইতে কিছুই না লওয়া; কিন্তু নিত্যানন্দ-প্রভু আপনাকে ‘সন্ন্যাসী’ বলিয়া পরিচয় দিয়া দিবসে তিনবার ভোজনে ব্যস্ত।’’ যে-সকল ব্যক্তি কর্মাগ্রহিতার বশে যুক্তবৈরাগ্য ও ফল্গুবৈরাগ্যের পার্থক্য বুঝিতে পারে না, তাহারা এই সকল যুক্তির অকর্মন্যতা বুঝিতে না পারিয়া আপনাদিগকে ‘তার্কিক’ মনে করে; কিন্তু তাহাদের তর্কের ভিত্তিনিতান্ত দুর্বল বলিয়া প্রত্যেকবুদ্ধিমান্ ব্যক্তি তাহাদিগকে ‘নির্বোধ’ জানে না সেই নির্বুদ্ধিতার ফলে বহিঃপ্রজ্ঞা-চালিত হইয়া যে সকল কুভাব হৃদয়ে পুষ্ট হয়, ঐ গুলি ভগবদ্ভক্তদর্শন ও ভগবদ্দর্শনের অন্তরায় স্বরূপ। ফল্গুবৈরাগ্য ও যুক্তবৈরাগ্যের কথা যাঁহারা শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য-দেবের মুখে শ্রবণ করিয়া শ্রীরূপ প্রভুর লেখনীতে আশ্বস্ত হইয়াছেন, তাঁহাদের ঐরূপ মুর্খতার আপদ্ হইতে বিমুক্ত হইয়াছে বুঝিতে হইবে।