স্ত্রীয়ে পুত্রে গৃহে তুমি পরম সংসারী।
পরমহংসের পথে আমি অধিকারী॥
প্রণয়-কলহ মুখে শ্রীনিত্যানন্দ-প্রভু নিজাবস্থা বর্ণনে আপনাকে পরমহংস-পথের পথিক বলিয়া বহির্দর্শকেরদৃষ্টির অকর্মণ্যতা বুঝাইবার জন্য শ্রীঅদ্বৈতপ্রভুকে সংসারোন্মত্ত গৃহস্থ, স্ত্রী-পুত্রের পালক বলিতেছেন। শ্রীনিত্যানন্দ-প্রভু আপনাকে ‘পরমহংস অবধূত’ ‘শ্রীগৌরসুন্দরের অগ্রজ’ প্রভৃতি অভিমান করিয়া অদ্বৈত-প্রভুকে ‘লুপ্তবুদ্ধি বৃদ্ধ’, ‘দারিদ্র ব্রাহ্মণ’ ও ‘অতিসাহসী’ বলিয়া নির্দেশ করিতেছেন এবং তাঁহাকে বলপূর্বক অধীন করিবার প্রবল শক্তি দেখাইবার প্রতারণা করিলেন। এই গুলি শ্রীঅদ্বৈতের শ্রীনিত্যানন্দ-প্রভুকে প্রণয়জ্ঞাপক রোষভরে বাক্য বলিবার ফলস্বরূপ। অদ্বৈত-প্রভু নিত্যানন্দ-প্রভুকে ‘মাতাল, ‘অনধিকার প্রবেশকারী’, ‘সন্ন্যাস-ধর্ম-বিগর্হিত’ ‘পংক্তিহীন, ‘সকলের নিকট শুদ্ধ্যশুদ্ধি-বিচার-রহিত হইয়া উচ্ছিষ্টভোজন-কারী’, ‘বৈদিকধর্ম বিচ্যুত’ প্রভৃতি বলিয়া অদ্বৈতগৃহ পরিত্যাগ না করিলে, তাঁহার বিশেষ শাস্তি লাভঘটিবে ইত্যাদি বাক্যের প্রতিবাদ-স্বরূপ নিত্যানন্দের অহঙ্কারপ্রতিম এই উক্তি সমূহ।