Normal view
Book Lang.: বাংলা
English
संस्कृता वाक्
Translation

শ্লোক 101

Language: বাংলা
Language: English Translation
  • সকল বৈষ্ণব প্রতি অভেদ দেখিয়া।
    যে কৃষ্ণ-চরণ ভজে
    , সে যায় তরিয়া

    বিষ্ণু ও বৈষ্ণব বিষয়াশ্রয়-ভেদে বিশেষ-ধর্ম-যুক্ত সুতরাং বিষ্ণুর তাৎপর্য ও বৈষ্ণবের তাৎপর্যে ভেদ আছে জানিলে সমতার পরিবর্তে বৈষম্য সেই স্থান অধিকার করে। এইরূপ বৈষম্য পাষণ্ডী ও নিন্দকগণের মধ্যেই প্রবল; কেননা, তাহারা বিষ্ণু ও বৈষ্ণবকে ভিন্নতাৎপর্যপর জানিয়া নিজ বিচারাধীন করে। বিষ্ণুসেবা-বর্জিত অহঙ্কার তাহাদিগকে ‘প্রভু’ সাজাইয়া বিষ্ণু বৈষ্ণবের সমতা ও বৈষম্য বিচার করে। বিষয়াশ্রয়বোধাভাবই তাহাদের নিন্দা ও পাষণ্ড প্রবৃত্তির জনক। তজ্জন্য বৈষ্ণবমাত্রেরই শ্রীকৃষ্ণচরণ-ভজনে কৃষ্ণের লীলায় প্রবেশাধিকারের অভেদত্ব জানিলে জীবের ভজনের সুষ্ঠতা হয়। পরিকর-বৈশিষ্ট্য-বিচার রহিত হইয়া ভগবানের যে নাম, রূপ ও গুণ গ্রহণ, তাহাতে পরিকর বৈশিষ্ট্যের উপযোগিতা না থাকায় জীবের ভগবদ্‌ভজনের সম্ভাবনা হইতে পারে না। তাই বলিয়া অবৈষ্ণবতাকে বা বিষ্ণুসেবা-রাহিত্য-ধর্মের যাজনকারীকে ‘অবৈষ্ণব’ না জানিয়া বৈষ্ণব ভ্রান্তিতে অভেদ জানিলে ভগবদ্ভজনের সম্ভাবনা হয় না।

    বিষ্ণুভক্তি রহিত বৈষ্ণবকেই ‘অবৈষ্ণব’ বলা হয়। উষ্ণতা-রহিত বস্তুকেই ‘শীতল’ বলা হয়। অতিশৈত্যের মধ্যেও উষ্ণতার অত্যল্পাংশ অবস্থিত। সুতরাং শীতোষ্ণবিচারে অভেদ-দর্শনে বৈচিত্র্যবিলাসাভাব। কিন্তু বৈচিত্র্য বা বিলাস স্বরূপের ধর্ম। বিরূপ বিচারে স্বভাব ও অভাবের সাম্য বা বৈষম্য, উভয়ই দোষযুক্ত। এই উভয় জড়ীয়বর্জিত চিন্ময় ভাবের উদয় না হওয়া পর্যন্ত জীবের শুদ্ধ ভাবাভাব-সেবা প্রবৃত্তি উদিত হয় না। সেবা-বৃত্তির অনুদয়ে ভগবদ্দর্শন বা ভক্তিতে অবস্থান সম্ভব হয় না।

Page execution time: 0.0364499092102 sec