কোন পাপী বলে,—“হের-দেখ ভাই সব!
খোলা-বেচা মিন্সাও হইল বৈষ্ণব!॥
মুনিসা বা মিন্সে—“পুরুষ মানুষ। ‘মনুষ্য’ শব্দের অপভ্রংশ ও নিন্দা-সূচক গ্রাম্য শব্দ। ব্যবসাদারবা সামান্য পণ্যদ্রব্যবিক্রেতা, সমাজের নিম্নস্তরের অবস্থিত ব্যক্তি। বৈষ্ণব—সর্বোত্তম, উচ্চস্তর হইতে নিম্নস্তরের সকল ব্যক্তিরই বিষ্ণুভক্তি লাভের যোগ্যতা আছে, কিন্তু উচ্চ সমাজের বা শিক্ষিত সমাজের ব্যক্তিগণ নিম্ন বা অশিক্ষিত সমাজের ব্যক্তিকে ‘বৈষ্ণব’ হইবার যোগ্যতা দেন না। অত্রি বলেন, —“বেদৈর্বিহীনাশ্চ পঠন্তি শাস্ত্রং শাস্ত্রেণ হীনাঃ পুরাণ-পাঠাঃ পুরাণ হীনাঃ কৃষিণো ভবন্তি ভ্ৰষ্টাস্ততো ভাগবতা ভবন্তি॥’’ “যত ছিল নাড়াবুনে, সবাই হল কীর্তুনে, কাস্তে ভেঙ্গে, গড়া’ল করতাল।’’ তথাকথিত উচ্চপদস্থ লোকেরা প্রায়ই প্রতিযুগেই নিম্নপদস্থ লোকগণের বৈষ্ণবতা-লাভে বা বৈষ্ণবসম্মান পাইবার অধিকারে বাধা দিয়া থাকে: কিন্তু শাস্ক বলেন,—“শাস্ত্ৰতঃ শ্ৰূয়তে ভক্তৌ নৃমাত্রস্যাধিকারিতা”; আরও বলেন,—‘অন্ত্যজা অপি তাদ্রাষ্ট্রে শঙ্খচক্রাঙ্কধারিণঃ। বৈষ্ণবী-দীক্ষাং সংপ্রাপ্য দীক্ষিতা ইব সংবভূ।’