প্রভু বলে,-“কহিলাঙ এই মহামন্ত্র।
ইহা জপ গিয়া সবে করিয়া নির্বন্ধ॥
মহামন্ত্র উচ্চৈঃস্বরেই সর্বক্ষণ কীর্তনীয়, উহা আদৌ জপ নহেন,—এরূপ বিচার কাহারও চিত্তে উদিত না হয়, তজ্জন্য মহামন্ত্র ‘জপ’ করিবারও উপদেশ লিখিত হইয়াছে। ‘নির্বন্ধ’ -শব্দে বিধিমতে সংখ্যা-নাম-গ্রহণকেই লক্ষ্য করে। মহামন্ত্র কেবলমাত্র জপ্য নহেন, আবার অজপ্য ও নহেন। পাঁচ দশ জন মিলিয়া হাতে তালি দিয়া এই মহামন্ত্র উচ্চৈঃস্বরে কীর্তন করিবার উপদেশ থাকায় মহামন্ত্র কেবল মাত্র জপ্য নহেন; আবার মহামন্ত্র সম্বোধনের সহিত চতুর্থ্যন্ত পদ প্রয়োগ করিয়া কীর্তন করিবার বিধিও উপেক্ষিত হয় নাই। “সর্বক্ষণ বল’—এই পদের দ্বারা কেবল মাত্র জপ্যতার বিচার নিরাশ করা হইয়াছে।