প্রভুর কৃষ্ণভক্তি-আশীর্বাদ ও কৃষ্ণনাম-মহামন্ত্র কীর্তনের উপদেশ—
প্রভু বলে,-“কৃষ্ণভক্তি হউক সবার।
কৃষ-নাম-গুণ বই না বলিহ আর॥”
ভগবৎ-সেবা বৈমুখ্যক্রমে জীবের বদ্ধভাব উপস্থিত হওয়ায় ইন্দ্রিয় তর্পণই তাহার একমাত্র উদ্দেশ্য হইয়াছে। এই ইন্দ্রিয়তর্পণের জন্য বদ্ধজীব সর্বতোভাবে চেষ্টাবিশিষ্ট। বদ্ধজীবের বাক্যাবলী ইন্দ্রিয়-তোষণোপযোগিজড়বস্তুর নাম, রূপ, গুণ ও ক্রিয়ায় আবদ্ধ। সুতরাং নাম রূপ-গুণ-লীলাত্মক কৃষ্ণকথা শুনিবার সুযোগ না হওয়ায় বদ্ধজীব ইতর-বিষয় তৎপর বাগ্বৈখরীতে আবদ্ধ হইয়া পড়ে। জীবের নিত্য মঙ্গল আকাঙ্ক্ষা করিয়া গৌরসুন্দর ‘জীবমাত্রেরই কৃষ্ণসেবা প্রবৃত্তি উন্মেষিত হউক’-- এইরূপ আশীর্বাদ করিলেন। তাহাদিগকে কৃষ্ণেতর নাম, রূপ, গুণ ও ক্রিয়া প্রভৃতির প্রজল্প করিতে নিষেধ করিলেন অর্থাৎ সর্বদা হরি-সঙ্কীর্তনেরই উপদেশ দিলেন। হরিকথার কীর্তন খর্ব হইলে জীবের বিষয়-কথা-কীর্তনই প্রবল হয়॥ উহাতে অমঙ্গ লই ঘটে।