অল্প হেন না মানিহ ‘কৃষ্ণ-দাস’-নাম।
অল্প-ভাগ্যে ‘দাস’ নাহি করে ভগবান্॥
জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ভগবৎসেবা-তৎপর। মায়াবদ্ধ-জীব এই কথা বুঝিতে না পারিয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষাবশে ভক্তিবর্জিত নানা অনুষ্ঠানকে ‘সাধন’ বলিয়া নির্ণয় করে এবং পরিশেষে তাহাদের সে প্রকার সাধনফলে যে উন্নত আদর্শ লাভ ঘটে, সেগুলি ভগবৎসেবা-বৈমুখ্যের অন্যতম নিদর্শন। যে কালে মানবের সর্বতোভাবে ভগবৎসেবার প্রবৃত্তি জাগ্রত হয়, সে-কালে তিনি সর্বাপেক্ষা ধন্য হন। ভগবদ্ভক্তগণ সর্বদাই লোকের মঙ্গলপরাকাষ্ঠা চিন্তা করিতে গিয়া কৃষ্ণে অনুরাগ বৃদ্ধি হউক্—এরূপ শুভেচ্ছা পোষণ করেন। সেবা-দ্বারাই সেব্য-বস্তুর প্রীতি বিধান হয়। সেব্যের অভীষ্ট-সাধনের যত্নের নামই ‘ভক্তি’। এই বোধ পরম সৌভাগ্যবন্তজনগণের হৃদয়ে প্রকাশিত আছে। যাহারা ভাগ্যহীন, তাহাদের ভগবৎসেবার উপাদেয়তা উপলব্ধির বিষয় না হওয়ায়, তাহারা বিদগ্ধ ললাট। ভগবান্ সেই ভাগ্যহীন জনগণকে স্বীয়দাস্য প্রদান করেন না।