সেবক কৃষ্ণের পিতা,মাতা,পত্নী,ভাই।
‘দাস’বই কৃষ্ণের দ্বিতীয় আর নাই॥
জড় জগতে বিবিধ উপাদান ও বহু দ্রব্যের স্বচ্ছলতায় অনেক সময় দাম্ভিকতা উপস্থিত হয়। ‘আমি শ্রেষ্ঠ, আমি ধনী, আমি বহুসেবোপকরণসংগ্রহকারী, আমি খুব ভক্তিমান, শ্রীধরস্বামি-প্রভৃতি বৈষ্ণবগণ মায়াবাদী’ ইত্যাদি নানা কুবিচার দাম্ভিককে আশ্রয় করে। ভগবান্ শ্রীগৌরসুন্দর সে সকল লোকের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না বা তাহাদের দ্বারা কোন সেবা অভিলাষ করেন না। বিশ্রম্ভসখ্য, বাৎসল্য ও মধুর-রসের বিষয় ভগবান্কে জাগতিক বিচারের ‘গৌরব’ বাধ্য করিতে সমর্থ হয় না। দরিদ্র ভক্তের প্রদত্ত সামান্য বস্তুকেও ভগবান্ বলপূর্বক আদরের সহিত গ্রহণ করেন। আর প্রচুর ধনবান্ দাম্ভিক ব্যক্তির মর্যাদা-প্রদত্ত দ্রব্যকেও ভগবান্ প্রত্যাখ্যান করেন। দ্বারকা (বর্তমান পোরবন্দর) সুদামাপুরী-নিবাসী সুদামবিপ্রের প্রদত্ত অন্নকণ ভগবানের নিকট আদরের সহিত গৃহীত হইয়াছিল। বনবাসকালে যুধিষ্ঠিরের প্রদত্ত বনশাক ভগবান্ কৃষ্ণ রোচমাণা প্রবৃত্তির সহিত গ্রহণ করিয়াছিলেন। সেব্যকৃষ্ণের পত্নী, পিতা-মাতা, সখা-দাস প্রভৃতি সকলেই সেবকমাত্র। যাঁহারা ভগবানের নিত্যলীলারপরিকর সেই সেবকগণের সম্পত্তিরূপ ভগবানের সেবা বিভিন্ন সেবকের দ্বারা বিভিন্ন রাসে বিহিত হয়।