কৃষ্ণের কীর্তন যে যে পাপী নাহি মানে।
কোথা গেল সেসকল পাষণ্ডী এখনে॥”৩৩৩॥
ভগবদ্বিমুখতা প্রবল হইলে কৃষ্ণকীর্তনরূপ ঔষধ গ্রহণে পাপিগণের পরাঙ্মুখতা থাকে। কীর্তন-বিরোধী জনগণ ভগবদিতর দেবগণকে সমপর্যায়ে গণনা করে বলিয়া উহাদের ‘পাষণ্ডী’-সংজ্ঞা। কৃষ্ণ-কীর্তনের সহিত ইতরদেবগণের নামোচ্চারণ সমপর্যায়ে গণনা করাই পাষণ্ডীর স্বভাব। কৃষ্ণনাম-বৈকুণ্ঠনাম। অন্যদেবগণ মায়িক, তাহাদের নাম —নামী দেবগণের সহিত ভেদধর্মযুক্ত; সুতরাং ‘কৃষ’ ও দেব-বাচক কৃষ্ণেতর নামের সামঞ্জস্য করিবার প্রয়াস দশবিধ নামাপরাধের অন্যতম।