‘বারকোণা-ঘাটে’, ‘নগরিয়া-ঘাটে’ গিয়া।
‘গঙ্গার নগর’ দিয়া গেলা ‘সিমুলিয়া’॥
‘মাধাইর ঘাট’ অতিক্রম করিয়া ‘বারকোণা ঘাট’ অবস্থিত ছিল। তাহার পরই নগর-বাসিগণের প্রশস্ত ঘাট ছিল। তাহার পরেই ‘গঙ্গানগর’-পল্লী। কিছুদিন পূর্বে গঙ্গানগরের অধিষ্ঠান বর্তমান ‘ভারুইডাঙ্গা’ পল্লীর সন্নিহিত স্থানে ছিল। গঙ্গানগর হইতে উত্তরপূর্ব কোণে অর্ধ ক্রোশের মধ্যেই প্রাচীন ‘সিমুলিয়া’-গ্রাম ছিল। বর্তমান ‘ছাড়ি গঙ্গার’ খাত-যাহাকে ‘গুড়্ গুড়ে’ বলে, সে স্থানে গঙ্গা প্রবাহিত হওয়ায় ঐ ‘সিমুলিয়া’-গ্রামের কিয়দংশ ভাঙ্গিয়া যায়, এবং তাহা সম্প্রতি ‘কৃষ্ণনগর’, ‘চরকাষ্ঠশালী’, ‘তারণবাস’ ‘কড়িয়াটি’ প্রভৃতি নামে সময় সময় কথিত হইত। এক্ষণে ‘খাগ্সেপাড়া’ নামক স্থানে একটী বটবৃক্ষের তলে সিমস্তিনী দেবীর স্থান হইয়াছে। প্রভুর সময়ে ‘সিমুলিয়া’ এই স্থান হইতে কএক্ সহস্র হস্ত দূরে অবস্থিত ছিল।