প্রভুর দ্বাররোধ করিয়া কীর্তন-বিলাস—
হেন মতে নবদ্বীপে প্রভু বিশ্বম্ভর।
ক্রীড়া করে, নহে সর্ব-নয়ন-গোচর॥
ভগবান্ বিশ্বম্ভরের সকল ক্রিয়া দেখিবার জন্য কেহই অধিকারী নহেন। যাঁহার যে অধিকার, তিনি সেইরূপ ক্রিয়া মাত্রই দর্শন করিয়া থাকেন (ভাঃ ১০/৪৩/১৭) “মল্লানামশনির্নৃৰ্ণং নরবরঃস্ত্রীণাং স্মরো মূর্তিমান্ গোপানাং স্বজনোঽসতাং ক্ষিতিভুজাং শাস্তা স্বপিত্রোঃ শিশু। মৃত্যুর্ভোজপতের্বিরাড়বিদুষাং তত্ত্বং পরং যোগিনাং বৃষ্ণীনাং পরদেবতেতি বিদিতো রঙ্গং গতঃ সাগ্রজঃ॥’’ অর্থাৎ একই অদ্বয়জ্ঞানবস্তু বিবিধ দর্শনে দৃষ্ট হইলেও ব্যক্তিবিশেষ তাঁহাকে সকল প্রকার দর্শনে যুগপৎ একই কালে দেখিতে পান না। শান্ত-দর্শনে একপদ বিভূতিতে অবস্থান-কালে জীবের এক-কালীন সর্বস্তুর দর্শনের সম্ভাবনা থাকে না। চক্ষুর্দ্বয়ের একদিকে অবস্থান-হেতু বৃত্তার্ধ দৃষ্ট হয়; পশ্চাদ্ভাগে তৎকালে দর্শন সম্ভব নহে। আবার গগনমণ্ডল দর্শনকালে অধোগগনের দর্শনাভাবহেতু সমকালে সর্বদর্শন সম্ভব নহে; সুতরাং গোলের এক পাদ-দর্শনই কেবল এক-কালে সম্ভব।