হরি-নাম-কোলাহল চতুর্দিকে মাত্র।
শুনিয়া সঙরে কাজী আপনার শাস্ত্র॥
ভারতবাসীগণ শ্রুতি, স্মৃতি, পুরাণ বা পঞ্চরাত্রে বিধি পালন করিতে গিয়া অর্চন করিয়া থাকেন। তাহাতে বাদ্যাদি-শব্দের বা শ্রৌতপথের আবাহন আছে। বিধর্মিগণ ভগবানের মূর্তির সহিত জড়জগতের ভোগ্য-মূর্তিগণকে সমশ্রেণীস্থ জ্ঞান করিয়া শব্দাদি-বাদ্যাঙ্গগসমূহকে ভগবৎসেবার অন্তরায় জ্ঞান করেন। প্রাপঞ্চিকবুদ্ধি হরিসম্বন্ধি-বস্তুতে নিযুক্ত হইলে সেই প্রকারের সঙ্গ পরিহারের বাসনাত্যাগের বিচারে হরিসেবনোপযোগী ক্রিয়া-কলাপগুলিকে ভগবৎসাধনের বিরোধী বলিয়া মনে হয়। তজ্জন্য বৈরাগ্যের অপব্যবহার হওয়ায় ভগবৎসেবায় বাদ্যযন্ত্রের উপযোগিতা অনেকের বিচারে স্বীকৃত হয় না; উহা ফল্গুবৈরাগ্যের অন্তর্ভুক্ত। যে সকল বাদ্য জীবকে ভোগে উন্মত্ত করাইয়া পরমসত্য ভগবানের সেবা-বিমুখ করায়, সেই সকল তৌর্যত্রিক অবশ্যই পরিহার করা আবশ্যক। কিন্তু তাৎপর্যরহিত হইয়া যে বিচার উপস্থিত হয়, তাহা ভগবৎসেবার অনুকুল বলিয়া গৃহীত হইতে পারে না।