কতিপয় ব্যক্তি শ্রীগৌরসুন্দরের জননীর অদ্বৈতচরণে অপরাধ(?) বিচার করিয়া অদ্বৈতপ্রভুকে ‘শ্রীকৃষ্ণ’ বলিয়া ভ্রান্ত হইবে এবং শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর সহিত অদ্বৈতপ্রভুর তারতম্যবিচারে নিত্যানন্দের স্থান অপেক্ষাকৃত হীনতর মনে করিবে। ইহারা ভগবান্ শ্রীগৌরসুন্দরের সেবকদ্বয়ের মধ্যে ‘কে বড়’ ও ‘কে ছোট মনোধর্মে বিচার করিবার গুরুতর ফল অচিরে জানিতে পারিবে। স্বীয় জননীর দ্বারা অদ্বৈতপ্রভুকে বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ জানাইয়া দিলেও মূঢ় ব্যক্তিগণ তাঁহাকে ‘স্বয়ং ভগবান্ কৃষ্ণ’ বলিয়া যেন মনে না করে—এইজন্য স্বীয় ভক্ত অদ্বৈতকে ‘বৈষ্ণব’ বলিয়া জ্ঞাপন ও প্রচার করাই শ্রীগৌরহরির উদ্দেশ্য ছিল।
শ্ৰীঅদ্বৈতপ্রভুর কতিপয় দুষ্ট স্তাবক তাঁহাকে পাছে ‘শ্রীকৃষ্ণ’ বলিয়া স্থির করে এবং শ্রীগৌরসুন্দরকে ও শ্রীনিত্যানন্দকে তাঁহার অনুগত ব্যক্তি বলিয়া মনে করে—সেই অপরাধ হইতে রক্ষা করিবার জন্যই অদ্বৈতপ্রভুকে বৈষ্ণবত্বে স্থাপনোদ্দেশ্যেই জননীর অপরাধ ক্ষমাপন করাইলেন।